সেই ‘১৫৮’ রানের চেয়েও বড় ইনিংসের আশায় আশরাফুল
টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ডাবল সেঞ্চুরি আছে ৫টি। মুশফিকুর রহিমের একারই আছে ৩টি। আর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান একবার করে ডাবল হান্ড্রেড হাঁকিয়েছেন।
এর মধ্যে মুশফিকের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে। আর তামিমের ডাবল সেঞ্চুরিটা ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সাথে খুলনায়। সাকিব আল হাসানের একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরিটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ সালে।
মোহাম্মদ আশরাফুল (২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ১৯০) আর মুমিনুল হক (২০১৩ সালে চট্টগ্রামে ১৮১, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) কাছাকাছি পৌঁছেও পারেননি দ্বি-শতক হাঁকাতে।
তবে মোহাম্মদ আশরাফুলের ভারতের সাথে একটি দেড়শো রানের ইনিংস আছে। সেটা ২০ বছর আগে চট্টগ্রামে। ভারতের বিপক্ষে ১৫৮ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সব সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভারতের সাথে বাংলাদেশের আর কোন ব্যাটারের দেড়শো রানের ইনিংস নেই।
মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন, চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের ম্যাচে ফিরতে তার ওই ইনিংসের চেয়েও একটি বড় ইনিংস দরকার।
আজ সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে জাগো নিউজের সাথে আলাপে আশরাফুল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত, পরিণত ও অভিজ্ঞ ব্যাটারদের কাছ থেকে একটা বড় ইনিংসের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। সেটা যেন হয় রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের সাথে প্রথম টেস্টে মুশফিকুর রহিমের করা ১৯১ রানের মত লম্বা ইনিংস। কেউ তেমন একটি ইনিংস খেলতে পারলেই হয়ত ভারত প্রথম ইনিংসে সাড়ে চারশো রান করলেও বাংলাদেশ লিড নিতে পারবে, না হয় খুব কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে।
আশরাফুলের কথা, ‘বাংলাদেশের পরিণত ও অভিজ্ঞ ব্যাটারদের কাছ থেকে লম্বা সময় ক্রিজে কাটানোর পাশাপাশি দীর্ঘ ইনিংস প্রত্যাশা করছি। যে কোন দু’জনকে যত বেশি সময় সম্ভব উইকেটে থেকে দীর্ঘ ইনিংস খেলতে হবে। এবং অন্তত একজনকে একটা বিরাট ইনিংস উপহার দিতে হবে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে মুশফিকুর রহিম যেমন ১৯১ রানের বিশাল ইনিংস খেলেছিল, চেন্নাইতে অন্তত একজনকে ভারতের বিপক্ষে তেমন এক ইনিংস খেলতে হবে।’
‘যদিও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে আমার করা ১৫৮ রানের ইনিংসটিই ভারতের বিপক্ষে টেস্টে আমাদের বাংলাদেশের ব্যাটারদের এখনো সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। সেই রান টপকে যেতে হবে কাউকে। তাহলেই হয়ত আমরা ভারতের প্রথম ইনিংসে করা স্কোর টপকে যেতে পারবো, না হয় কাছাকাছি থাকতে পারবো। ব্যবধান বেশি হলে কিন্তু আর কিছু করার থাকবে না। তখন আর ম্যাচে ফেরা হবে না। তাই কেউ একজনকে আমার সেই দেড়শো রানের ইনিংস টপকে যেতে হবে।’
এআরবি/আইএইচএস/