নারী ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস
ইতিহাস গড়লো আয়ারল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দল। মেয়েদের ক্রিকেটে প্রথমবারের ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলো তারা। ডাবলিনের ক্লনটার্ফে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে আইরিশরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে আইরিশ মেয়েরা। এই ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে হয়েছে ইংল্যান্ডের আয়ারল্যান্ড সফর। বেলফাস্টে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ড জিতেছিল ২-১ ফলে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ফলে অমীমাংসিত থাকলো।
টানটান উত্তেজনার ম্যাচে একেবারে শেষ বল বাকি থাকতে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় আয়ারল্যান্ড। শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। একটা সময়ে জয়ের জন্য সমীকারণ দাঁড়ায় দুই বলে দুই রান।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে ক্রিস্টিনা কুল্টার রিলি আইরিশদের হয়ে এক স্মরণীয় জয় ছিনিয়ে নেন। ম্যাডি ভিলার্স রান আউট করার চেষ্টা করেছিলেন আইরিশ ব্যাটারদের। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার থ্রোতেই দুটি রান সম্পন্ন করে দলের জয় নিশ্চিত করেন কুল্টার রিলি।
ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করেছিল ইংল্যান্ড। দলের হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ট্যামি বিউমন্ট। এছাড়া বাইরনি স্মিথ ২৬ বলে ২৮, পেইজ স্কোলফিল্ড ২১ বলে ৩৪ আর জর্জিয়া অ্যাডামস ১৫ বলে ২৩ রান করেন।
আইরিশদের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ওরলা পেনডারগাস্ট, আর্লিন কেলি এবং আইমে ম্যাগুয়ের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করে আইরিশরা। আয়ারল্যান্ডের ওরলা পেনডারগাস্ট ৫১ বলে ৮০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ১৫৬.৮৬ স্ট্রাইকরেটে গড়া তার ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার।
ব্যাট এবং বল হাতে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ জয়ের নায়ক ওরলা। পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। তাকে ব্যাট হাতে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস। তিনি ৩৫ বলে ৩৮ রান করেছেন। এছাড়াও লেহ পল করেন ২৭ বলে ২৭ রান।
এমএমআর/জেআইএম