জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তান অধিনায়ক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের পর জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। টাইগারদের কাছে এমন হারে চরম হতাশ হয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের খেলায় উন্নতি করার আরো অনেক কিছু বাকি আছে, সেটিও স্বীকার করেছেন মাসুদ।

এই হার থেকে শিক্ষা নিতে চায় পাকিস্তান। সামনের দিতে অতিদ্রুত দেশের ক্রিকেট উন্নতি করার জন্য কাজে মনোযোগ দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মাসুদ।

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ বলেন, ‘আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাদের সাধারণ লক্ষ্য হওয়া উচিত পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করা।’

সিরিজ হারের কারণ হিসেবে মাসুদ অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অভাবের কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ফরম্যাটে আমাদের আরো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দরকার। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে, নির্বাচকরা এবং আমরা সকলেই একাদশ ও নির্বাচকদের গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখছি।’

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১৫৬ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা।

বাংলাদেশকে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলার মূল নায়ক ছিলেন পাকিস্তানের পেসার খুররম শেহজাদ। ৬ উইকেটের ৪টিই শিকার করেন তিনি। এরপর চোটের কারণে তাকে বিশ্রামে পাঠানো হয়। এই সুযোগে পিচে ভালোমতো সেট হয়ে যান লিটন ও মিরাজ।

বিষয়টি উল্লেখ করে মাসুদ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত খুররম আজ (গতকাল) পুরোপুরি মাঠে ছিল না। আমি মনে করি, বাংলাদেশ যখন ২৬/৬ থেকে ঘুরে দাঁড়ায় তখনই আমরা খেলা হেরে গিয়েছি। আমরা সেখানে আরও একটি উইকেট নিতে পারতাম। মীর হামজা অক্লান্তভাবে বোলিং করেছে এবং একজন অতিরিক্ত ফাস্ট বোলারের কাজের চাপ সামলেছে।’

হারের কারণ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা বিরতিকেও দুষেছেন মাসুদ। কারণ, প্রায় ১০ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান।

তিনি বলেন, ‘লাল বলের ক্রিকেটে আপনি কোনো প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিতে পারেন না। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে দশ মাসের বিরতি কোনো সুবিধা নিয়ে আসে না। আমি মনে করি, এত লম্বা বিরতি ছাড়া আমাদের টেস্ট ম্যাচ খেলা উচিত।’

এমএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।