এটা হঠাৎ পাওয়া সাফল্য নয়, ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ: নান্নু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:০৮ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুশফিক, সাকিব, লিটন, মিরাজ, হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানারা বনে গেছেন রাজ্যজয়ী বীর। প্রশংসার সাগরে ভাসছে শান্তর দল। পুরো জাতি তাদের পারফরমেন্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ জাতীয় দল নিয়ে কাজ করা মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও খুব খুশি। টাইগারদের এমন সাফল্যকে অনেক বড় ও ঐতিহাসিক সাফল্য বলে অভিহিত করে জাতীয় দলের এ সাবেক প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে তুলোধুনো করা , ২-০তে সিরিজ হারানো, এক বিরাট কৃতিত্ব। ঐতিহাসিক সিরিজ সাফল্য।’

সৃষ্টি কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নান্নু বলে ওঠেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা যে চোখে এমন সাফল্য দেখালেন, সেজন্য তার অনেক কৃতজ্ঞতা; আলহামদুল্লিল্লাহ। আমি ক্রিকেটারদের ‘স্যালুট’ করি। সব ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানাই। সবার জন্য শুভ কামনা। আমার বিশ্বাস এই ছেলেরা আগামীতেও আমাদের এমন সাফল্য উপহার দেবে। ’

হঠাৎ এমন আলো ঝলমলে পারফরমেন্স আর দুর্দান্ত সাফল্য ধরা দিল কি করে? এই হঠাৎ কথাটায় যেন রাজ্যের বিপত্তি নান্নুর।

পাল্টা প্রশ্ন, হঠাৎ নজরকাড়া সাফল্য হতে যাবে কেন? আমরা মাত্র আড়াই বছর আগে ২০২২ সালের জানুয়ারি আমরা মাউন্ট মঙ্গানিয়া পুরো শক্তিতে গড়া নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিং তিন শাখায় পর্যদুস্ত করে ৮ উইকেটে হারিয়েছিলাম। সেই টেস্টে সেঞ্চুরি করতে না পারলেও আমাদের তখনকার অধিনায়ক মুমিনুল (৮৮), তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৭৮), বর্তমান অধিনায়ক শান্ত (৬৪), আর লিটন দাস (৮৬) চারজন পঞ্চাশের ঘরে পা রেখেছিলেন।

আর তারপর ৪ বোলার তাসকিন, শরিফুল, মিরাজ ভাল বোলিং করে সাফল্যে অবদান রেখেছিল। আর কিউই সেকেন্ড ইনিংসে ৪৬ রানে ৬ উইকেটের পতন ঘটিয়ে আমাদের জয়ের মঞ্চ সাজিয়ে দিয়েছিল ফাস্ট বোলার এবাদত। কাজেই ইতিহাস সাক্ষী আমাদের ক্রিকেটাররা আগেও এমন টিম হিসেবে খেলে স্মরণীয় সাফল্য উপহার দিয়েছে।

সাবেক প্রধান নির্বাচক মনে করেন, গত ৩ বছরে টেস্টে উন্নতির জন্য কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। তারই ফসল নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জয় এবং জাতীয় দলের এ সাবেক প্রধান নির্বাচক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জয়কে এক সুঁতোয় গেঁথে রাখতে চান। তার অনুভব, এ দুটি সাফল্যই আসলে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ।

মিনহাজুল আবেদিন নান্নু যোগ করেন, কিছু ক্রিকেটারকে বাধ্যতামুলকভাবে ফাস্টক্লাস খেলানো, ফাস্ট বোলারদের মনিটর করা, একটা সিস্টেম ও প্রসেসে রাখার ফসল এই নজরকাড়া সাফল্য।

এআরবি/আইএইচএস/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।