পাকিস্তানে পেসারদের ভালো করার রহস্য জানালেন নান্নু
আচ্ছা! নাহিদ রানা আর হাসান মাহমুদরা এমন আগুন ঝরানো বোলিং শিখলেন কি করে? ঘরোয়া ক্রিকেটেতোও তাদের বলে এত গতি, তেজ আর ধার চোখে পড়ে না? এটা কি অ্যালান ডোনাল্ডের শেখানো টিপসের ফল?
রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট শেষ হওয়ার আগে থেকেই এ প্রশ্ন উঁকি-ঝুকি দিচ্ছিলো কারো কারো মনে। জাগোনিউজের সাথে আলাপে সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
তার ব্যাখ্যা, কাউকে কাউকে বলতে শুনি অ্যালান ডোনাল্ডের বুদ্ধি পরামর্শ আর টেকিনিকই ফাস্ট বোলারদের জ্বলে ওঠার প্রধান কারণ। আসলে তা নয়। ডোনাল্ড অবশ্যই ভাল কাজ করেছেন; কিন্তু তার টিপস কাজে লাগাতে একটা অনুকুল ক্ষেত্র দরকার ছিল। সে অনুকুল ক্ষেত্র তৈরির কাজ করেছি আমরা।
নান্নু বোঝানোর চেষ্টা করেন, আসলে গত ৩ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ঘাসের পিচে খেলাটা পেসারদের উন্নতিতে খুব কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ডমিস্টিক ফাস্ট ক্লাসের উইকেট গুলোয় গত ৩-৪ বছর ৬ থেকে ৮ মিলিমিটার ঘাসের উইকেটে খেলা হয়েছে। যেটা হয়ত অনেকেই জানেন না।’
‘এছাড়া ফাস্ট বোলাররা যাতে সারাদিন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের পর দিনের শেষভাগে গিয়ে নতুন বলে বল করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ৮০ ওভারে বল পরিবর্তন করার নিয়মটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যাতে করে ৮০ ওভারে পড়ন্ত বিকেলে একজন পেসার দ্বিতীয় নতুন বলে বল করতে পারে। সে অভ্যাসটা তৈরি হয়েছে যে, সারা দিনে ৮০ ওভার বোলিং করার পরও পেসারর বাধ্যতামূলকভাবে নতুন বলে বল করার অভ্যাস তৈরি করতে পারে। এ সব পরিবর্তন আনার ফসল এ ডেভোলপমেন্ট।’
এছাড়া তরুণ পেসার নাহিদ রানাকে সিস্টেমের মধ্যে এনে হাই পারফরমেন্স ইউনিটে চোখের সামনে রেখে রেখে তৈরি করা হয়েছে। একাডেমির মধ্যে নার্সিং করা হয়েছে। যে ট্যালেন্ট আছে, তার যথাযথ নার্সিংয়ের কারণেই পেসারদের ঘাটতি হয়নি। ১০ টা ফাস্ট বোলারকে লাল ও সাদা বলে প্র্যাকটিসে রাখা হয়েছে।’
‘লাল বলে সিলেট ও চট্টগ্রামে অনুশীলন হাই পারফরমেন্স ইউনিট ও টাইগার্স দলের প্র্যাকটিসটাও অনেক কাজে লেগেছে। সব মিলিয়ে একপটা লং টার্ম প্রসেস ছিল।’
এআরবি/আইএইচএস