‘এ টেস্ট না জেতার কোনো কারণ নেই, আশা করছি বড় ব্যবধানেই জিতবো’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৩৬ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ সোমবার শেষ মুহূর্তে আলোর স্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টার মত সময় খেলা হয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিনও কী বৃষ্টি হানা দেবে রাওয়ালিপিন্ডিতে? এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেট ভক্তর একটাই প্রশ্ন।

খেলার ভাগ্য নিয়ে প্রশ্ন না করে বাংলাদেশের ভক্তরা বৃষ্টির কথা ভাবছেন বেশি! কেউ কেউ হয়তো ফোড়ন কাটছেন। ভাবছেন বাংলাদেশের সামনে জয়ের হাতছানি, তা বাদ দিয়ে বৃষ্টি বড় করে দেখা কেন?

দেখা এই কারণে যে, খেলার যা চালচিত্র, তাতে ম্যাচ বাংলাদেশের হাতে। অতিবড় পাকিস্তানিও মানছেন, টাইগাররা চালকের আসনে। আজ সোমবার চতুর্থ দিন বাংলাদেশের ২ পেসার নাহিদ রানা আর হাসান মাহমুদ দুর্দান্ত বোলিং করে জয়ের মঞ্চ সাজিয়ে দিয়েছেন। তাদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখে মাত্র ১৭২ রানে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস।

তাতে বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৮৫। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম আর জাকির হাসান অবিচ্ছিন্ন ৪২ রান তুলে দিলে শেষ দিন শান্ত বাহিনীর দরকার আর ১৪৩ রান। কোটি টাইগারভক্ত উন্মুখ হয়ে আছেন। তাদের ধারনা ও বিশ্বাস সেই রান ক’টা করতে তেমন অসুবিধা হবে না বাংলাদেশের ব্যাটারদের।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও মনে করেন, বাংলাদেশের জিততে কোনই অসুবিধা হবে না।

সুজনের কথা, ‘আমি এ ম্যাচ হারার কোনো চিন্তাই করি না। আবহাওয়া বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আমার মনে হয় আমরা জিতবোই এবং খুব সহজে জিতবো। দেখবেন বেশ বড় ব্যবধানে জিতে যাবে বাংলাদেশ।’

কেন কি কারণে খালেদ মাহমুদ সুজন এতটা আশাবাদী? টাইগার ব্যাটারদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাসই বা এত বেশি কেন? এ প্রশ্নের জবাবে সুজনের ব্যাখ্যা, ‘আমি আমাদের ব্যাটারদের ওপর আস্থা রেখেই বলছি, এই ১৪৩ রান করার সামর্থ্য আছে আমাদের ব্যাটারদের। আশা করছি তেমন অসুবিধা হবে না তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে।’

সুজনের বাড়তি আশাবাদী হওয়ার আরও একটা বড় কারণ হলো পাকিস্তানের নির্বিষ বোলিং। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়কের কথা, ‘পাকিস্তানের বোলিংয়ের ধার অনেক কম। প্রথম ইনিংসে যদিও পাকিস্তানীরা আমাদের চেয়ে ১২ রান বেশি করেছে, তারপরও বলছি আমাদের বোলাররা বেটার বোলিং করেছে।’

‘ভাবছেন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও আমি এমন বলছি? হ্যাঁ, বলছি এই কারণে যে দেখবেন আমরা প্রথম ৬ উইকেট হারিয়েছি শটস খেলতে গিয়ে। পাকিস্তানের বোলারদের আনপ্লেয়েবল ডেলিভারি খুব কম ছিল। বরং আমাদের তাসকিন, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা বেশ কিছু আনপ্লেয়েবল ডেলিভারি ছুড়েছে। কাজেই আমি পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ে তত চিন্তিত নই। আমার বিশ্বাস ১৪৩ রানের ভেতরে আমাদের ব্যাটারদের আটকে রাখার সামর্থ্য নেই পাকিস্তানি বোলারদের।’

সুজন শেষ করেন এভাবে, ‘প্রথম টেস্ট জেতার পর আমাদের ব্যাটারদের আস্থা, আত্মবিশ্বাস ও নিজেদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস বেড়েছে অনেকখানি। দেখেন, মঙ্গলবার যদি ঠিকমতো খেলা হয়, বৃষ্টি যদি বাধা না দেয় তাহলে আমাদের ব্যাটাররা ভালো মতো লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।