পিসিবি ও মাসুদকে ভুল ধরিয়ে বাংলাদেশকে কৃতিত্ব আফ্রিদির

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে টেস্ট হারলো পাকিস্তান। তাও আবার যেনোতেনো হার নয়, ১০ উইকেটে বিশাল ব্যবধানে হার। এমন একপেশে হার হজম করা পাকিস্তানের জন্য অনেকটাই কষ্টকর।

গতকাল রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে হতাশাজনক সেই হার নিয়ে কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও অধিনায়ক শান মাসুদের বড় ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ দলের অনন্য ও ব্রান্ডিং ক্রিকেটের প্রশংসা করতেও ভুলে যাননি সাবেক এই অলরাউন্ডার।

পিসিবি ও মাসুদের ভূমিকা এবং দূরদর্শীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আফ্রিদি। অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্টের কঠোর সমালোচনাও করেছেন তিনি।

আফ্রিদির চোখে পাকিস্তানের ভুল স্পষ্ট। সিদ্ধান্ত নিতেই বড় ভুল করেছে তারা। এই ম্যাচে চারজন পেসারকে খেলিয়েছে পাকিস্তান। অথচ একাদশে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখা হয়নি।

পিচ নির্মাণ নিয়ে পিসিবির সমালোচনা করেছেন আফ্রিদি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘১০ উইকেটে হার এই ধরনের পিচ প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে। চারজন ফাস্ট বোলারকে (একাদশের জন্য) নির্বাচন করেছে এবং একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি আমার কাছে পরিষ্কার যে, হোম কন্ডিশন সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যাই হোক, পুরো টেস্টে তারা যে ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলেছে, বাংলাদেশের কাছ থেকে সেই কৃতিত্ব আপনি ছিনিয়ে নিতে পারবেন না।’

আফ্রিদির করা এই টুইটবার্তা ইন্টারনেটে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে গো-হারা হেরে পিচ ভালোভাবে বুঝতে না পারার ব্যর্থতার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ।

মাসুদ বলেছিলেন, ‘কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। এটা (পিচ) আমরা যেমন ভেবেছিলাম সেভাবে কাজ করেনি। এছাড়াও ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিতে যে আবহাওয়া ছিল, প্রথম দিনের খেলা শুরুর ৮-৯ দিন আগে বৃষ্টি হয়েছিল। পিচের দিকে তাকিয়ে আমরা কিছুটা বেশি আশা করেছিলাম। তিনজন পেস বোলারের সঙ্গে আরও একজন পেসারকে একাদশে নিয়েছিলাম। আসলে আমরা ভুল বুঝেছিলাম।’

এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।