শুধুই কি মুশফিকের ব্যাটিং, জয়ের পেছনে আর কাদের অবদান?

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩২ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২৪

সবাই বলছেন এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা, টিম পারফরমেন্সের পুরষ্কার। ব্যাটারদের কার্যকর ব্যাটিং আর বোলারদের সময়মত বল হাতে জ্বলে ওঠা- দুয়ের সমন্বয়ে দেখা মিললো এ জয়ের। তারপরও উঠেছে প্রশ্ন, কেউ কেউ রাওয়ালিপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয়ের প্রকৃত রূপকার মানতে চান মুশফিকুর রহিমকে।

তাদের দাবি, মুশফিকুর রহিম যদি ইস্পাত কঠিন মন আর অসীম সাহস নিয়ে একদিক আগলে রাখার পাশাপাশি ১৯১ রানের অমন লম্বা ইনিংস না খেলতেন, তাহলে কি এ জয়ের সত্যিকার ভীত ও সম্ভাবনা তৈরী হতো? মুশফিক একা অতবড় ইনিংস খেলতে না পারলে কি বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১১৭ রানে লিড নিতে পারতো? আর ওই লিড না হলে কি জয় এত সহজ হতো?

আবার কারো মতে, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, লিটন দাসের অবদানকেও খাট করে দেখার কোন উপায় নেই। সাথে দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসানের বোলিংটাকেও হালকভাবে দেখার কিছু নেই। সবগুলো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেই আজ ২৫ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জয়ে রেখেছে বিরাট ভূমিকা।

মূলতঃ কার এবং কাদের নৈপুণ্যে এমন ঐতিহাসিক জয়ের মূল নিয়ামক ছিল? সদ্য বিসিবি পরিচালক মনোনীত হওয়া দেশ বরেণ্য ক্রিকেট বোদ্ধা, প্রশিক্ষক ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম এ প্রশ্নের সাজানো-গোছানো জবাব দিয়েছেন। ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘সব কটা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের যোগফল এই অসাধারণ জয়।
ফাহিমের ব্যাখ্যা, টিম ইফোর্ট আর মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিং; দুটি দিকই আছে। তবে কারো ভূমিকাকেই ছোট ও খাট করে দেখার সুযোগ নেই। ব্যাটিংতো অনেকেই ভাল করেছে। ৯৩ রানের ইনিংস দেখলাম আমরা সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। ওপেনিংয়ে সাদমানের সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং ড্রেসিং রুমে সাহস জুগিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ড্রেসিং রুমকে কমফোর্ট দিয়েছে। সবার মাঝে বিশ্বাস জন্মেছে, খেলা যায়। তারপর আমরা আরও কয়েকজনের ব্যাট থেকে ভাল ব্যাটিং এবং ফিফটিও দেখলাম। কিন্তু মুশফিকের দীর্ঘ ইনিংসটির ইমপ্যাক্ট অনেক। ’

‘মুশফিক বড় ইনিংসটা না খেললে আমাদের স্কোরলাইন এত বড় হতো না। আমরা পিছনেই থেকে যেতাম। তাতে হয়ত চাপটাও রয়ে যেত;কিন্তু মুশফিক অত বড় ইনিংস খেলে ফেলায়, চাপটা কেটে গেছে। কমান্ডিং পজিশনে নিয়ে গেছে;কিন্তু কঠিন সত্য হলো মুশফিকের ঐ ইনিংসটাও আমাদের জেতানোর মত জায়গায় নিয়ে যেতে পারেনি। টেস্ট জিততে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের পতন ঘটাতে হয়। বোলারদের সে কাজটা করা খুব দরকার ছিল। বোলাররা সে কাজটিই করে দেখাতে পেরেছে। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বেশি পতন ঘটানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানীদের ১০ উইকেট নেয়া ছিল খুব জরুরি। বোলাররা সেই কাজটি করেছে সাফল্যের সাথে। অথচ আমরা প্রায়ই এ সময়ে ব্যর্থ হতাম।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।