বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় জিম্বাবুয়ে
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ থেকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে চাচ্ছে আইসিসি। বিকল্প হিসেবে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের কথা ভাবছিল সংস্থাটি। মৌসুম অনুকূল নয়, এমন কারণ দেখিয়ে প্রস্তাব পেয়েও সেটি নাকচ করে দেওয়ার দাবি করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। শ্রীলঙ্কাতেও এই সময়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। আর বাকি থাকে কেবল আরব আমিরাত।
নারী বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসি যখন চরম উদ্বিগ্ন, তখন বিশ্বকাপটি আয়োজন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ে। তারা জানিয়েছে, আইসিসির হাতে দুইটা ভালো পথ খোলা আছে। সেগুলো হলো, জিম্বাবুয়ে ও আরব আমিরাত।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের মেগা টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়ার যোগ্য মনে করে তারা। এর আগে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার ম্যাচগুলো আয়োজন করেছিল জিম্বাবুয়ে। এছাড়া ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করেছিল দেশটি।
২০২৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নামিবিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করবে জিম্বাবুয়ে। এরপর ২০২৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়ার সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে দেশটি।
আরব আমিরাতে খেলা হলে দর্শক উপস্থিতি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে জিম্বাবুয়েতে উপস্থিতি বেশি হওয়ার আশা করা যায়। খরচের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে জিম্বাবুয়ে। কারণ, আরব আমিরাতের চেয়ে কম খরচেই জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপটি শেষ করতে পারবে আইসিসি।
আগামী মঙ্গলবার আইসিসির সঙ্গে নারী বিশ্বকাপ সংক্রান্ত সভা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ হবে কি না, সেই সভায় চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে নারীদের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এমএইচ/এএসএম