ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার, মুখ খুললেন লিটন দাস

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৪
লিটন দাস/ ছবি: ফেসবুক

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতার একটা অংশ। হামলা হয়েছে দমন-পীড়নে অংশ নেওয়া পুলিশের ওপরও।

একটা শ্রেণি দেশের এই ক্রান্তিকালে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সংখ্যালঘুদের কিছু মন্দির কিংবা বাড়িতেও হামলার কথা শোনা গেছে। তবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা রক্ষায় এগিয়ে এসেছে আমজনতা। মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তারা পাহারা বসিয়েছে। গড়ে তুলেছে শক্ত প্রতিরোধ।

কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে এরই মধ্যে অনেক গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুটিকয় বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে তারা বড় করে দেখাচ্ছে, এমনকি মিথ্যা খবরও ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভারতীয় কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজার পোড়া বাড়ির ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে প্রচার করা হয়েছে, লিটন দাসের বাড়িতে আগুন দিয়েছে ইসলামপন্থীরা। যা নিমিষেই ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও ভারতের অনেক মিডিয়া পরে সত্যটি তুলে ধরেছে।

এবার সত্য তুলে ধরলেন লিটন দাসও। আজ (শুক্রবার) দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

লিটন তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে একটি বিষয় অবগত করতে চাই। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন মিডিয়াতে একটি খবর প্রচার হয়েছে আমাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে, যার কোনো সত্যতা নেই। কেউ এইসব গুজবে কান দেবেন না। আমি এবং আমার পরিবার এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছি।’

‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশে আমরা সকল ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যেন একসাথে সামনে এগিয়ে যেতে পারি সেটাই এখন আমাদের একমাত্র মূলমন্ত্র হওয়া উচিত। আমার দিনাজপুরবাসীসহ পুরো দেশ একে অন্যের রক্ষায় যেভাবে নিয়োজিত ছিলেন সেটা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং আমি কৃতজ্ঞ। আমি আশা করবো ভবিষ্যতেও আমরা সবাই একসাথে থাকবো এবং সকল ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে রাখবো এই দেশটাকে। কারণ দেশটা আমাদের সবার।’

এমএমআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।