বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আর রক্তপাত চান না মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসে এমন পরিস্থিতি আর দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। রক্তপাত বন্ধ হয়ে শান্তি আসুক, এমনটা কামনা করেছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে ক্যাম্পাসগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেন মুশফিক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেনস্তা করার বিষয়টিকে নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পোস্টে মুশফিক লেখেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে, আমি আমার ভাই-বোনদের ওপর আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না।’

গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় লাগিয়ে মৌন প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পরে তারাও আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিষয়টি উল্লেখ করে মুশফিক বলেন, ‘আমার শিক্ষকরা যারা অতুলনীয় সাহস দেখিয়ে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা। এটা মেনে নেওয়া কঠিন কোন ছাত্রের জন্য যে তার শিক্ষক হেনস্তা হয়েছেন, যা খুবই নিন্দনীয় বলে আমি বিশ্বাস করি। যে কোনো উপায়েই হোক এই রক্তপাত বন্ধ হোক। শান্তি আসুক।’

কোটা আন্দোলন নিয়ে চলমান সহিংসতার দ্রুত সমাধান চান মুশফিক। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক লেখেন, ‘সংশ্লিষ্টরা সমাধানের শান্তিপূর্ণ রাস্তা বের করবেন এটাই অনুরোধ। আল্লাহ আমাদের ঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।’

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে যাওয়া ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় ও পেসার শরিফুল ইসলাম।

হৃদয় লিখেছেন, ‘সবকিছু থেকে দূরে আছি, তাই অনেক কিছুই দেখা হয়নি…. । আমার প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর রক্তাক্ত না হোক।’

একই দিনে নিজের ফেসবুক পেজে শরিফুল লিখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন ক্রিকেটার হলেও আমি একজন ছাত্র। আমি চাই না, আর কোনো ছাত্রছাত্রীর রক্ত ঝরুক।’

 

এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।