প্রতিভা আছে, ধারাবাহিকতা নেই লিটনের
তার শট দেখে বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ বলেছিলেন, ‘লিটন দাস ইজ পেইন্টিং মোনালিসা হিয়ার ইন টনটন টুডে।’ লিটনের শট মুগ্ধ করে দর্শকদেরও। যতক্ষণ তিনি উইকেটে থাকেন, ব্যাটিং দেখতে ভালো লাগার কথা সবারই; কিন্তু লিটনের ব্যাটিং সক্ষমতার যে প্রতিশ্রুতি, তার বাস্তব রূপ দেখা যায় না খুব একটা।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও তার ফর্মটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। তবুও তার ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। কেন? মূল কারণ তার বিকল্প না থাকা। তাকে দলে রাখায় সমালোচনাও সহ্য করতে হচ্ছে নির্বাচকদের। প্রায় পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই তার প্রতি রাখা আস্থা অবশ্য ধীরে ধীরে কমছে।
লিটনের জন্ম দিনাজপুরে। এরপর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে উঠেন তিনি। ধীরে ধীরে সুযোগ পান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। দুটি যুব বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। এরপর ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী ও জাতীয় লিগে রংপুর বিভাগের হয়ে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে সুযোগ পান জাতীয় দলে।
কিন্তু টেস্টে কিছুটা ধারাবাহিকতা দেখালেও রঙিন পোশাকে সেটি পারেননি খুব একটা। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলেন ১২১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। পরের বছর বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ে সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরির দিনে ৯৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
প্রতিভার ঝলক দেখালেও ধারাবাহিকতা ছিল না লিটনের ক্যারিয়ারে। সাম্প্রতিক সময়েও বাজে কাটছে তার। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ১২ ইনিংসে কোনো হাফ সেঞ্চুরি নেই তার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচে ১, ২৩ ও ১২ রান করার পর বাদ পড়েন শেষ দুই ম্যাচের একাদশ থেকে।
যদিও শেষ অবধি বিশ্বকাপে তিন ওপেনারের একজন হিসেবে যাচ্ছেন লিটন। টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে ৮১ ইনিংসে ১২৮.১২ স্ট্রাইক রেটে ১৮০৪ রান করেছেন লিটন। অফ ফর্ম কাটিয়ে বিশ্বকাপে জ্বলে উঠবেন তিনি, এমন প্রত্যাশা খুব বেশিই থাকবে বাংলাদেশ দলের।
আইএইচএস/