টিভিতে বন্ধুদের কথা না বললে ‘মেরে ফেলার’ হুমকি উগান্ডা অধিনায়ককে

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ০৬ জুন ২০২৪

স্বপ্নের সময় কাটছে উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মুসাবার জন্য। দলকে তিনি প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছিলেন আইসিসির কোনো বিশ্বকাপে, সেটিই ছিল বেশ বড় অর্জন। এর আগে কেবল উগান্ডার তিনটি খেলাই যেতে পেরেছে বিশ্ব আসরে। আফ্রিকার দেশটিকে এবার উদযাপনের আরও বড় উপলক্ষ এনে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাত্তা পায়নি তারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জয় পেয়ে গেছে উগান্ডা। এরপর দলটির অধিনায়ক মুসাবা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সমর্থকদের, শুনিয়েছেন বন্ধুদের দেওয়া মজার হুমকির কথাও।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুসাবা বলেন, ‘আমাদের খুব বিশেষ একটা সমর্থকগোষ্ঠী আছে। তারা পুরো দুনিয়াজুড়ে ঘুরে বেড়ায় ও আমাদের সমর্থন করে। মনে হয় না তারা জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিল, কিন্তু এটাই সর্বনিম্ন আমরা করতে পারতাম। আমি আশা করি তাদের অনুভূতিও ততটাই বিশেষ, যতটা আমাদের।’

‘দেশে অনেক মানুষ আমাদের দেখছে। রাতের সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা অবধি জেগে থাকছে। এটা সহজ না। আমরা তাদের সালাম ও অভিবাদন জানাই। আমার স্কুলের কিছু বন্ধুরা আছে, তারা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে যদি টিভিতে তাদের কথা না বলি (হাসি)। সমর্থকদের বলতে চাই, আপনাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।’

উগান্ডায় ক্রিকেটের প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। ফুটবল সেখানে সবচেয়ে জনপ্রিয়, অলিম্পিকের কিছু খেলাও নিয়মিতই হয়। আফ্রিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় তারা। নিজেদের ওই পুরো যাত্রা নিয়েই গর্বিত মুসাবা।

তিনি বলেন, ‘খুব বিশেষ একটা জয় আমাদের জন্য। বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয়, এর চেয়ে বিশেষ কিছু হয় না। সবাই মিলে যে কাজটা করেছে তা নিয়ে গর্বিত। বিশ্বকাপে দেশকে প্রথম জয় এনে দেওয়া, খুবই বিশেষ কিছু। খেলোয়াড়দের ও বোর্ডের তিন-চার বছরের খুব খুব কঠিন পরিশ্রমের ফল। বিশ্বকাপ খেলাটাই বিশেষ ছিল, কিন্তু প্রথম জয় পাওয়া আরও বেশি।’

পাপুয়া নিউগিনিকে স্রেফ ৭৭ রানে অলআউট করে উগান্ডা। কৃপণতম বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন ফ্রাঙ্কো সুবুগা। পরে রিয়াজাত আলির ব্যাট হাতে দৃঢ়তায় তিন উইকেটের জয় পায় উগান্ডা। ম্যাচশেষে সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মুসাবা।

তিনি বলেন, ‘আগের ম্যাচের চেয়ে এবার পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করেছি। দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারায় বোলারদের নিয়ে গর্বিত। ম্যাচের ছন্দটা তারাই আমাদের জন্য ঠিক করে দিয়েছিল। (পেসারদের জন্য) খুব সহজ বিষয়, কঠিন লেন্থ ও উইকেট টু উইকেটে বল করা। আমরা এটা আজ ভালো করতে পেরেছি, আমাদের কাজেও দিয়েছে।’

‘যখন আপনি তিন উইকেট হারিয়ে ফেলবেন দ্রুত, অল্প রান তাড়া করছেন। আমরা জানতাম এটা কেমন হবে। সত্যিকারের ঝামেলা ছিল ওখানে। তাদের প্রতিটি রানই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্যাটারদের অভিবাদন যে মাথা নিচু করে দলের জন্য কাজটা করে যেতে পেরেছে।’

আইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।