সেন্ট ভিনসেন্টের আরনোস ভ্যালে স্টেডিয়াম
একসময় কৃষির জন্য খ্যাতি ছিল সেন্ট ভিনসেন্টের আরনোস ভ্যালে। এখানকার খেলাধুলার ইতিহাসও পুরোনো। যেমন পুরোনো আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়াম। ১৯৮১ সালে এই মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচে ২ রানে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেন্ট ভিনসেন্টে সমূদ্রের তীরঘেঁষে নয়নাভিরাম একটি স্টেডিয়াম হচ্ছে আরনোস ভ্যালে। ১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার মাঠটিতে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে তিনটি গ্রুপ পর্বের আর দুটি সুপার এইটের ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের দুটিই বাংলাদেশের।
১৩ জুন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এরপর ১৬ জুন সেন্ট ভিনসেন্টের এই মাঠটিতে নেপালের মুখোমুখিও হবে টাইগাররা। যদিও মাঠটিতে খুব বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়নি।
ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই ফরম্যাটে। যার মধ্যে ২০১৩ সালে হওয়া ছেলেদের দুটি ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের জন্য অবশ্য সুখস্মৃতি আছে এখানে। ২০০৯ সালে তামিম ইকবাল ও ২০১৪ সালে মুশফিকুর রহিম এই ভেন্যুতেই টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। তবে কোনোবারই জয় নিয়ে এই মাঠ থেকে ফিরতে পারেননি তারা।
এবার অবশ্য বেশ সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। যুক্তরাষ্ট্রে কঠিন ম্যাচগুলো খেলে আসার পর বাংলাদেশ গ্রুপের তুলনামূলক সহজ প্রতিদ্বন্দ্বীদের মুখোমুখি হবে আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে। রেকর্ডবুকে এই মাঠে বাংলাদেশের জয় লেখা হওয়ার সম্ভাবনাই তাই বেশি। তবে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে ব্যাটারদের। তারাই বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন মাঠটিতে।
আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়াম
প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৭ সালে
দর্শক ধারণক্ষমতা: ১৮,০০০
এবারের বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হবে: ৫টি ম্যাচ
গ্রুপ পর্ব
১৩ জুন, নেদারল্যান্ডস-বাংলাদেশ
১৬ জুন, নেপাল-দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ জুন, নেপাল-বাংলাদেশ
সুপার এইট
২২ জুন, সি১-বি২
২৪ জুন, সি১-ডি২
আইএইচএস/