মোস্তাফিজের বিধ্বংসী বোলিং, ১০৪ রানে থামলো যুক্তরাষ্ট্র
অবশেষে স্বরূপে জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামা যুক্তরাষ্ট্রকে ১০৪ রানে থামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে একাই ৬ উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ।
প্রথম তিন ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন মাত্র ৬ রান। একটি মেডেনসহ উইকেট নেন ৪টি। শেষ ওভারে এসে দিলেন ৩ রান। নিলেন আরও দুটি উইকেট। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো বোলার টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। মোস্তাফিজের বিধ্বংসী বোলিংয়েই কোনঠাসা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ স্টেডিয়ামে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগের দুই ম্যাচেই হেরেছিলো বাংলাদেশ। তাতে সিরিজও খুইয়েছে টাইগাররা। শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। এই ম্যাচে এসেই জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটারদের বুঝিয়ে দিলেন, প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও ক্রিকেট দল হিসেবে একেবারে হারিয়ে যায়নি বাংলাদেশ।
টস জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিটাই যা একটু দাঁড়াতে পেরেছিলো। ৫ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫ বলে ২৭ রান করা আন্দ্রিস গোউসকে ফিরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইনিংসে ধ্বস নামান সাকিব আল হাসান। এরপর ২০ বলে ১৮ রান করা শায়ান জাহাঙ্গিরকে ফেরান মোস্তাফিজ।
নিতিশ কুমার ৩, মিলিন্দ কুমার ৭, অ্যারোন জোন্স ২ রান করে আউট হন। কোরি অ্যান্ডারসন এবং স্যাডলি ফন স্কালউইক মাঝে একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এন্ডারসন ১৮ এবং শ্যাডলি ১২ রানে আউট হয়ে যান। জসদিপ সিংককে ক্লিন বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। নিসর্গ প্যাটেল ২ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র।
মোস্তাফিজ ছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব, সাকিব আল হাসান এবং রিশাদ হোসেন। মোস্তাফিজের চেয়েও বেশি কৃপণ ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন তিনি।
আইএইচএস/জেডএইচ/