হাথুরু বলছেন
‘কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে চিন্তা আছে, তবে দল নিয়ে চিন্তিত নই’
জিম্বাবুয়ের মত অতি দুর্বল দল, যারা এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি, তাদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে একবারের জন্য ২০০ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০ বহুদূরে, শেষ তিন ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৭৫-১৮০ করাও সম্ভব হয়নি। সর্বোচ্চ স্কোর ১৬৫। আর ২ ম্যাচে ১৫৬ ও ১৪৩ ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও টাইগারদের ব্যাটিং মন ভরাতে পারেনি ভক্তদের। বরং অতিবড় বাংলাদেশ সমর্থকও প্রিয় দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত।
সবার একটাই প্রশ্ন, যারা মুজারাবানি, সিকান্দার রাজা আর বেনেটদের মত সাধারন মানের বোলিংয়ের বিপক্ষে হাত খুলে খেলতে পারেননি, তারা বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কী করবেন?
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নিজ দলের ব্যাটিং নিয়ে কী ভাবছেন? তিনি কি ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত? আজ বুধবার দুপুরে প্রেস কনফারেন্সে প্রশ্ন উঠেছিল।
হাথুরু অবশ্য সরাসরি মুখ ফুটে বলেননি যে, আমি ব্যাটিং চিন্তিত। তবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে যা বলেছেন, তার সারমর্ম দাঁড়ায়-টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে ভেতরে চিন্তা আছে তার।
তাই তো মুখে এমন কথা, ‘কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা আছে। তবে দল হিসেবে বা কোনো নির্দিষ্ট বিভাগ নিয়ে তেমন চিন্তিত নই। হ্যাঁ, আমরা চাই আমাদের টপঅর্ডার সবসময় রান করুক। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের টপঅর্ডারের কিছু ব্যাটার উইকেটে বেশি সময় কাটাতে চায়। এবং রানও করতে চায়।’
ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত কিনা? এমন প্রশ্নে হাথুরুর কৌশলী উত্তর, ‘আমি আসলে ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখতে চাই। আমি মনে করি আমরা কোনো খেলায় শুরুতে ভালো করেছি, আবার কোনো কোনো ম্যাচে শুরু ভালো হয়নি। যখন আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি, তখন শুধু মিডল অর্ডাররাই নয়, সবাই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে টেস্ট আর ওয়ানডের চেয়ে একদমই ভিন্ন ধরনের আখ্যা দিয়ে হাথুরু বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাই যে কোনো কিছুই ঘটে যেতে পারে। ঘটেও।’
টাইগার হেড কোচ মনে করেন, বাংলাদেশের প্রস্তুতি বেশ ভালো। তার ভাষায়, ‘আমাদের চট্টগ্রামে খুব ভালো অনুশীলন হয়েছে। তারপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজেও আমরা নানাভাবে ভিন্ন পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটে সবাইকেই সুযোগ দিতে পেরেছি। সব মিলে আমার মনে হয় আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম