বঙ্গবন্ধুতে ক্রিকেটারদের দৌড়
তানজিম সাকিব-নাহিদ রানা সবার ওপরে, বাকিরা কেমন করলেন?
টিম বাংলাদেশের নতুন স্ট্রেন্থ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেইলির পরামর্শে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে এক ব্যতিক্রমী রানিং করলেন জাতীয় দলের সম্ভাব্য ৩৪ ক্রিকেটার।
আজ যে ৩৪ জন ক্রিকেটার দৌড়ালেন, তাদের মধ্যে শর্ট স্প্রিন্ট ছাড়াও পুরো অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে ৪ বার চক্কর মানে ১৬০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হলো। ৩৪ জনকে ২ ভাগে ভাগ করে ওই দূরপাল্লার দৌড় প্রতিযোগিতার প্রথম ভাগে ১৭ জনের মধ্যে পেসার তানজিম হাসান সাকিব হয়েছেন প্রথম।
১৬০০ মিটার দৌড়ের প্রথম বহরে তানজিম সাকিবের পরে দ্বিতীয় হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। বরাবর প্রথম তিন চারজনের মধ্যে থাকলেও শেষ দিকে গিয়ে খানিক পিছিয়ে পড়ে পঞ্চম হয়েছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। এ বহরে তৃতীয় হয়েছেন মুমিনুল হক।
হালের ফাস্টবোলিং সেনসেশন নাহিদ রানা দ্বিতীয় বহরে ১৬০০ মিটার দৌড় সবার আগে শেষ করেন। তার পেছনে থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। এই বহরে তৃতীয় হয়েছেন আরেক তরুণ পেসার মুশফিক হাসান। অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান দ্বিতীয় বহরে ১৬০০ মিটার দৌড়ে চতুর্থ হয়েছেন।
এখন যারা জাতীয় দলের আশপাশে আছেন, তাদের মধ্যে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখানে ২০০৪ সালে একটি কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছেন। এছাড়া আজ যে ৩৪ জন ক্রিকেটার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রানিং করলেন, তাদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট আসরে বিকেএসপির হয়ে এ মাঠে খেলেছেন।
আর কেউই দেশের ক্রীড়াকেন্দ্র ও ক্রীড়াতীর্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে কখনো খেলেননি। কী করে খেলবেন? ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারির পর যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আর ক্রিকেটই হয়নি। তারপর থেকে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামই রাজধানীতে দেশের ক্রিকেটের প্রধান ভেন্যু। তাই হালের লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হকসহ পরের দুই-তিন প্রজন্মের কেউই এই মাঠে কোনো সুপ্রতিষ্ঠত ক্রিকেট আসরে অংশ নেননি।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক টপ অর্ডার ব্যাটার শাহরিয়ার নাফীস মনে করেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেশের সকল ক্রীড়াবিদের কাছে সবসময়ই একটা অন্যরকম ভেন্যু। ক্রিকেটারদের যারা রানিং টেস্ট দিতে আজ ভোরে এ মাঠে এসেছেন, সবাই এক অন্যরকম পুলক অনুভব করছেন।
এআরবি/এমএমআর/এমএস