টেস্টের বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দিলেন আশরাফুল
বাংলাদেশ দল সিলেটে যে যাচ্ছেতাই পারফর্ম করে শোচনীয়ভাবে ৩২৮ রানের বিরাট ব্যবধানে হেরেছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ কী? টেস্ট একদিন আগে শেষ হওয়ায় হাতে সময় আছে ৪ দিন।
আগামী ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে শুরু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সিলেটের এ ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে বন্দরনগরীতে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি নাজমুল হোসেন শান্তর দল?
আশার খবর, চট্টগ্রামে দলে যুক্ত হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তার অন্তর্ভূক্তিতে বোলিং আর ব্যাটিং দুটিই সমৃদ্ধ হবে। দলগত শক্তিও বাড়বে। তারপরও রাতারাতি ব্যর্থতার প্রাচীর টপকে বেরিয়ে আসা কি সম্ভব?
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সময়ের অন্যতম সেরা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আশরাফুল আশাবাদী। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, ‘খারাপের পর ভালো আসে। এরচেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে? ইতিহাস বলে আমাদের পারফরম্যান্স বেশি খারাপ হলে তারপর ভালো হয়।’
সাকিব খেললে কি অবস্থার উন্নতি সম্ভব? আশরাফুল এবার খানিক নেতিবাচক, ‘সাকিব খেললেই যে অনেক পার্থক্য তৈরি করতে পারবে, আমার তা মনে হয় না। সেই নিষেধাজ্ঞার পর আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেনি সাকিব। এমনি এমনি টেস্ট খেলেছে। অবশ্য তাতে কয়েকটা ফিফটি আছে।’
আশরাফুলের মূল কথা, আসলে সংকট উত্তরণের জন্য সবারই দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে ভালো করার তাগিদ অনুভব করতে হবে। নিজের কাজগুলো যতটা সম্ভব সঠিকভাবে সম্পাদন করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন মুমিনুল ৮০-এর ওপর রান করেছে। আর একজন অমন ইনিংস খেললেই স্কোরটা আড়াইশো তিনশোতে গিয়ে ঠেকতো। উত্তরনের একটাই জায়গা, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটানো। ব্যক্তিগত পারফরমেন্স উন্নত হলে আপনাআপনি দলগত পারফরম্যান্স উন্নত হবে।’
প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন বা প্রথম ২০ ওভার দুই দলই স্ট্রাগল করেছে। লঙ্কান মিডল অর্ডাররা সেই সংকট কাটাতে পারলেও বাংলাদেশ পারেনি। আশরাফুলের কথা, ‘দেখেন সিলেটে লঙ্কানরাও প্রথম দেড় ঘণ্টা উইকেটে স্বচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেনি। রীতিমত সংগ্রাম করেছে। আমরাও করেছি। সেই সংকট উত্তরণে আপনি কী করবেন, কোন কৌশলে এগোবেন, মানসিকতা, অ্যাপ্রোচ-অ্যাপ্লিকেশন কেমন হবে, সেটা আপনাকেই ঠিক করতে হবে।’
আশরাফুল যোগ করেন, ‘একেকজনের ফর্মুলা একেকরকম। কেউ সংকটের মুহূর্তে চালিয়ে খেলে নিজেকে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। আবার কেউ একদম ঠাণ্ডা মাথায় ধৈর্য্যকে পুঁজি করে উইকেটে টিকে থেকে ইনিংসটাকে লম্বা করে। এটা যার যার ইচ্ছে ও গেম প্ল্যানের ওপর নির্ভর করে।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম