তামিম-মিরাজ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কিনা, খুঁটিয়ে দেখছে বিসিবি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৪

নাটকীয় ফোনালাপ প্রকাশের পর ফেসবুক লাইভে মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে এনে তামিম ইকবাল নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, এটি মুশফিকের বিপক্ষে বিষোদগার নয়। সেটা ছিল নিছকই বিজ্ঞাপনের ভাষা। ‘নগদ’ এর একটি বিজ্ঞাপন।

তামিম ও মিরাজের ওই কথোপকথনের পর নানা প্রতিক্রিয়া চারদিকে। সবারই প্রথম প্রশ্ন, একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে নিয়ে তারই সতীর্থ টেলিফোন সংলাপে (যা বিজ্ঞাপনের ভাষা) এমন কথাবার্তা বলতে পারেন কি না? এতে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট, জাতীয় দল এবং তামিম-মিরাজের বিপিএলের দল ফরচুর বরিশালের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়নি?

দ্বিতীয় প্রশ্নটি অনেকটা এরকম- হোক তা নগদ বা অন্য কোনো কমার্শিয়াল হাউজের বিজ্ঞাপন। কিন্তু তামিম যে ভাষায় কথা বলেছেন, একটি বিপিএল দল ও জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে, এমন ভাষার বিজ্ঞাপন করা এবং তা টেলিফোন সংলাপ বা কথোপকথনের অংশ হতে পারে কি না? জাতীয় ক্রিকেটাররা এমন ভাষায় কোনো বিজ্ঞাপন করতে পারেন কি না?

শুধু ক্রিকেটাঙ্গন বললে অনেক কম হবে। ক্রীড়াঙ্গন ছাপিয়ে তামিম ও মিরাজের ওই টেলিফোন কথোপকথন দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

সবার মুখে এমন ভাষার বিজ্ঞাপনের তীব্র সমালোচনা। অতি বড় তামিম ভক্তও যারপরনাই হতাশ। তাদের প্রশ্ন, তামিম কেন এই ভাষায় বিজ্ঞাপন করলেন? এতে করে তার মতো একজন দেশ বরেণ্য ক্রিকেটারের শুধু ইমেজ ক্ষুন্নই হয়নি বা সমালোচনার পাত্রই হননি, সমাজের ও দেশবাসীর কাছে হেয় প্রতিপন্নও হয়েছেন। এতে করে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বিসিবিরও মান ক্ষুন্ন হয়েছে। বোর্ড বিষয়টাকে কিভাবে দেখছে?

বিসিবি কি তামিমকে কোনোরকম কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে?

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে পুরো বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখার কথা বলেছেন। জাতীয় দল দেখভাল, ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি বিসিবি পাখির চোখে পরখ করছে। এরইমধ্যে বোর্ডের মার্কেটিং ও কমার্শিয়াল কমিটিকে পুরো ব্যাপার খুঁটিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাগো নিউজকে জালাল আরও বলেন, ‘দেখতে হবে বিজ্ঞাপন ও কমার্শিয়াল ইস্যু গুলোয় আমাদের বিসিবির কোড অব কনডাক্টে (আচরণবিধি) কী আছে? আমরা দেখবো, পুরো ঘটনায় কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গ হয়েছে কিনা?’

তিনি বলেন, ‘যদি কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গ হয়, তাহলে নিশ্চয়ই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গ হলে শাস্তি কি? সেটাও ওই কোড অব কনডাক্টেই লিপিবদ্ধ আছে। কাজেই আগে দেখতে হবে, পুরো ঘটনাটি আমাদের বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের কোড অব কনডাক্ট ভঙ্গ হয়েছে কিনা? কো অব কনডাক্ট ভঙ্গ হলে যে শাস্তির কথা বলা আছে, তাই হবে।’

এআরবি/এমএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।