২০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ
প্রায় দুই দশক পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে অনুষ্ঠেয় এই ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের দুই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাকিস্তানে বসতে পারে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করতেই এই তিন দল সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) সভাপতি লসন নাইডু এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) সভাপতি রজার টুসের সঙ্গে দেখা করার পর এই সিরিজের ঘোষণা দেন।
পাকিস্তান সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশে ২০০৮ সালে। ওই সিরিজে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে ছিল।
আর পাকিস্তানের মাটিতে শেষবার ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন হয়েছিল ২০০৪ সালের অক্টোবরে। এই সিরিজের অন্য দলগুলো ছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে।
পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি বলেছেন, ‘পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজ একটি উত্তেজনাপূর্ণ টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। অনেক দিন পরে পাকিস্তান এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চলেছে। ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নিতে সম্মত হওয়ার জন্য আমি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট এবং ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধানদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। পিসিবিও ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে আগ্রহী। পাকিস্তানের মাটিতে শীর্ষ আটটি ওয়ানডে দল খেলবে এবং এটি আয়োজন করতে পারলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হব।’
তবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ সূত্রের খবর, এশিয়া কাপের মতোই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও 'হাইব্রিড মডেল'-এ খেলা হতে পারে।
আইসিসির কার্যনির্বাহী বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, 'হাইব্রিড মডেল'-এ আগামী বছর পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করার একটি বিকল্প রাস্তা তৈরি হতে পারে। কারণ আইসিসি ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তানে খেলতে যেতে চায় না ভারত। তাই পাকিস্তান কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক হলে বাধ্য হয়েই সেটা হাইব্রিড মডেলে অর্থাৎ ভারতের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে আয়োজন করতে হয়।
এমএমআর/এএসএম