সাইফউদ্দিন দলে আসার পরই বদলে যায় বরিশাল!
চোট কাটিয়ে ফিরতে দেরি হয়েছে। বিপিএলের মাঝপথে ফরচুন বরিশালের দলে যুক্ত হন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলে ফিরেই পারফরম্যান্স দিয়ে ঝলক দেখান। টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে এসে এতটাই উজ্জ্বল ছিলেন সাইফউদ্দিন, অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবলীলায় স্বীকার করলেন-তাকে পাওয়ার পরই দল বদলে গেছে!
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ১৮ বলে ৩০ ও দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৬ বলে ২৩ রানের অপরাজিত কার্যকরী ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। বল হাতেও বরিশালের বড় ভরসার নাম ছিলেন। ৯ ম্যাচ খেলেই ১৫ উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এই পেসার।
ফাইনালেও শেষ ওভারে দুর্দান্ত বল করেছেন। আন্দ্রে রাসেল স্ট্রাইকে থাকলেও একটি ছক্কাও হাঁকাতে পারেননি সাইফউদ্দিনকে।
তামিম মনে করেন, সাইফউদ্দিনকে পাওয়া তাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তামিমের কথা, 'আমার কাছে মনে হয় সাইফউদ্দিনের অন্তর্ভূক্তি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকেও যদি দেখেন হ্যাঁ ট্রফি জিতেছি কিন্তু শেষ ওভারটা অবিশ্বাস্য ছিল। অইখানে যদি ধরেন ১৫টা রান হয়ে যাইত ১৭০ চেইজ করা লাগত হয়ত। ভিন্ন খেলা হতো।'
তামিম যোগ করেন, 'সাইফউদ্দিনের অন্তর্ভূক্তি বেশ জরুরি ছিল। আমরা জুয়াটা (গ্যাম্বল) খেলেছিলাম। কারণ কেউ নিশ্চিত ছিল সাইফউদ্দিন খেলতে পারবে কি পারবে না। আমি জুয়াটা (গ্যাম্বল) দারুণভাবে নিয়েছি এবং সে জরুরি সময়ে ভালো করেছে। আমাদের বোলিং প্রথম দিকে একটু অত শক্তিশালী ছিল না। ও আসার পর আমার কাছে মনে হয় (আরও ভালো হয়েছে)।’
শুধু সাইফউদ্দিন নন, বিদেশি কাইল মায়ার্সের কাছ থেকেও ভাবনার চেয়ে বেশি সাপোর্ট পেয়েছে বরিশাল। বেশ কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করার পর ফাইনালেও ম্যাচসেরা এই ক্যারিবিয়ান।
তামিম এ সম্পর্কে বলেন, 'আমাদের বেশ কয়েকজন বিদেশি আসার কথা ছিল যাদের পাইনি; মোহাম্মদ আমির, ফখর জামান। শোয়েব মালিক কয়েকটা ম্যাচ খেললেন। তবে মায়ার্স দুর্দান্ত ছিলেন। তাকে দলে পাওয়াটা আমাদের কাজে দিয়েছে।'
এমএমআর/এমএস