খুলনার ছেলে হলেও জন্ম বরিশালে
ফাইনালে কুমিল্লাকে হারানো হবে কঠিন চ্যালেঞ্জ, বলছেন মিরাজ
সবাই তাকে খুলনার মিরাজ বলে চেনে। কিন্তু জানেন কি, মেহেদী হাসান মিরাজ কিন্তু জন্মসূত্রে খুলনার ছেলে নন! তার জন্মস্থান বরিশাল।
হাওয়া থেকে পাওয়া খবর নয়। জাতীয় দল তথা ফরচুন বরিশাল অলরাউন্ডারের নিজের মুখের কথা, ‘আসলে, আমার জন্মস্থান বরিশাল। আমার বাবা বাড়ি, দাদা বাড়ি সব বরিশালেই। আমি যখন বড় হয়েছি, তিন-চার বছর ছিলাম বরিশালে। বাবার চাকরির সুবাদে খুলনায় চলে আসি, খুলনায় থাকি পড়ালেখা করি এবং এখানে খেলোয়াড় হই। অনুশীলন খেলাধুলা সবই খুলনায় করি। কিন্তু দুই জায়গায় আমার সম্পৃক্ততা আছে। তবে খুলনাতেই থাকছি বর্তমানে। আর বরিশালে আমার দাদি, নানি বেঁচে আছেন। চাচা-মামারাও আছেন। কাজেই এক জায়গা বলতে পারবেন না। যেহেতু আমি খুলনা থেকে বড় হয়েছি, অবশ্যই আমি দুই জায়গার।’
ওপরের বক্তব্যে পরিষ্কার, মিরাজের সঙ্গে বরিশালের একটা আত্মিক যোগাযোগ আছে। তাই বরিশালের ওপর অন্যরকম মায়াও আছে এ অলরাউন্ডারের।
এবার বরিশালের হয়ে একটি বিশেষ কারণে ট্রফি জিততে মরিয়া মিরাজ। এ স্পিনিং অলরাউন্ডার আগে কখনো বিপিএলের ট্রফি হাতে নিতে পারেননি। এর আগে ২ বার ফাইনাল খেললেও নিজ দলের সিনিয়র মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহর মত মিরাজও বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কখনো ট্রফি জিতিনি বিপিএলে। যদি এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, এটাই আমার জন্য প্রথম। এর আগে দুইবার ফাইনাল খেলেছি, এটা নিয়ে তিনবার খেলব। ফাইনালে জিততে পারিনি।’
‘এবার কিন্তু আশা করব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। সবাই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। কুমিল্লা ওরাও চায় চ্যাম্পিয়ন হতে, আমরাও চাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য’-যোগ করেন মিরাজ।
তার অনুভব, যে দল মাঠে ভালো খেলবে, সে দলই হাসবে শেষ হাসি। প্রতিপক্ষ হিসেবে কুমিল্লা কেমন? আজ বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্নে বুড়িগঙ্গার তীরে ঢাকার নবাবদের আদি নিবাস আহসান মঞ্জিলে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মিরাজ বোঝানোর চেষ্টা করেন, কুমিল্লা ভালো দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে চ্যালেঞ্জিং। তবে তার দল বরিশালকেও খাটো করে বা পিছিয়ে রাখতে নারাজ মিরাজ।
মিরাজের ভাষায়, ‘আপনি দেখেন কুমিল্লা সবসময় বড় দল। তারা অনেক ভালো দল বানায়। প্রতিপক্ষ হিসেবে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ হবে, সহজ হবে না। দুই দলের খেলাটা অনেক ভালো হবে। কারণ আমাদের দলও অনেক শক্তিশালী। আমাদের দলের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন এবং দেশের বাইরের যারা আছেন তারাও ভালো।’
এআরবি/এমএমআর