আমরা যেন পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরতে পারি: রংপুর কোচ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জিতলে ফাইনালে। হারলে বিদায়। বাঁচা মরার লড়াই। আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় সেই বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স এবং ফরচুন বরিশাল।

সবার ওপরে থেকে সুপার ফোরে উঠে কোয়ালিফায়ার পর্বের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হারের পর অস্তিত্বের লড়াইয়ে রংপুর এখন বরিশালের সামনে। অনেকগুলো আনুসঙ্গিক চাপের মুখে কোচ সোহেল ইসলাম।

দলে দেশি-বিদেশি অনেক তারকা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৮৫ রান নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। বোলাররা ওই পুঁজিকে নির্ভর করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতগুলো প্রতিকূলতা ও বাঁধা অতিক্রম করতে হবে কোচ সোহেল ইসলামকে।

রংপুর হেড কোচ কি বাড়তি চাপ অনুভব করছেন? বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুরের শেরে বাংলায় কোয়ালিফায়ার-২ এ মাঠে নামার আগে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সোহেল অকপটে স্বীকার করেছেন, ‘অবশ্যই চাপ থাকবে। ক্রিকেট খেলায় চাপ থাকবে না এটা তো হইতেই পারে না। বিপিএলে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ চলছে। চাপ থাকবেই।’

তবে রংপুর কোচ মানছেন সেই চাপ কাটিয়ে উঠতেই হবে। তাই মুখে এমন কথা, ‘এটা ওভারকাম করেই খেলতে হবে।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে রংপুর কোচ মনে করেন, তাদের স্কোরটা ঠিকই ছিল। বোলিংয়ে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। যে পরিকল্পনা আঁটা হয়েছিল, তার বাস্তব রুপ দেয়া সম্ভব হয়নি।

‘গতকালের ম্যাচে যেটা হয়েছে যে ভালো স্কোর ছিল আমাদের। বোলিংয়ে কিছু জায়গায় প্ল্যান আমরা যেভাবে করেছিলাম সেভাবে করতে পারি নাই’- বলছিলেন সোহেল ইসলাম।

রাউন্ড রবিন লিগে সবার ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে সবার আগে সুপার ফোরে পৌছে কোয়ালিফায়ার-১ এ হেরে বসা। খুব স্বাভাবিকভাবেই দলের ভেতরে এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা। কোচ সোহেল ইসলামও তা স্বীকার করেছেন। তবে সেটা কাটাতে চেষ্টা করছে তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। কালকের ম্যাচের পর তো আর কোনো অপশনও নাই। কালকের খেলা নিয়ে কিভাবে কি করলে, কোন স্ট্র্যাটেজি ফলো করলে কিভাবে আসলে করা যেতে পারে এগুলা নিয়ে আলোচনা করছি। আগের ম্যাচের পর আমাদের ছেলেরা একটু ডাউন ছিল। আজকে (মঙ্গলবার) রিকভার করছি। বিভিন্ন কথা বলে ছেলেদের মধ্যে আবার স্পিরিট ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কালকে যেন আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরতে পারি, সে চেষ্টাই থাকবে।’

দলে সাকিব, নিকলাস পুরান, জিমি নিশাম, মোহাম্মদ নবি, ইমরান তাহির আর ফজল হক ফারুকির মত একঝাঁক বিদেশি তারকা। তাদের সামলানো কি সমস্যা?

সোহেল ইসলাম তা মানতে নারাজ। ‘না না। এটা কেন হবে? বেশি প্লেয়ার থাকলে তো আরও বেশি সুযোগ থাকবে। আমি দলের কম্বিনেশন আরও বিভিন্নভাবে করতে পারব। তো আমি ওইভাবে দেখি না। যারা এখানে খেলতে আসছে, বিদেশি ৪ জনের বেশি তো খেলাতে পারব না। যারা আসছে তারাও জানে। আমি আসলে প্রতিপক্ষ দেখে যে কম্বিনেশন খেলানো দরকার মনে হয় আমরা সেটাই করি।’

কুমিল্লার সঙ্গে ১৮৫ রানের বড়সড় পুজি নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ফজল হক ফারুকি, সাকিব, শেখ মেহদি আর মোহাম্মদ নবির মত বোলাররাও কিছু করতে পারেননি। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে এটা কি কোন চিন্তার কারণ?

সোহেলের জবাব, ‘চিন্তা বলব না। টি-টোয়েন্টি রানের খেলা উইকেট ভালো থাকলে রান বড় হতে পারে। যা হচ্ছে আমার বোলিং ইউনিট প্রথম থেকেই খুবই ডিসিপ্লিন ছিল, সময়ের সাথে সাথে কিছু হইতেই পারে এটা। এখনও আমার বোলারদের উপর বিশ্বাস আছে। ওরা ভালো সার্ভিসটা দিতে পারবে। আমি আশা করছি পরের ম্যাচে ওরা ভালোভাবে রিকভার করতে পারবে। ঘাটতি থেকে ওরা বের হইতে পারবে এটা নিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।