হৃদয়ের ওয়ান-ম্যান শো, বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় কুমিল্লার
নয়ন জুড়ানো, হৃদয় ভরানো, বিধ্বংসী এক ইনিংস। ৫৭ বলে ৮ চার আর ৭ ছক্কায় হার না মানা ১০৮ রান। একজন বাংলাদেশি ব্যাটারের উইলো থেকে এমন ইনিংস বেরিয়ে এলো, ভাবা যায়!
তাওহিদ হৃদয় তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটাই বোধ হয় খেললেন আজ (শুক্রবার)। নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিতে দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪ উইকেট আর ১ বল হাতে রেখে হারিয়েছে কুমিল্লা।
সাত ম্যাচে এটি কুমিল্লার পঞ্চম জয়। অষ্টম ম্যাচে টানা সপ্তম হার ঢাকার।
অথচ রান তাড়ায় নেমে তাড়ায় ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চোখে রীতিমত অন্ধকার দেখছিল কুমিল্লা শিবির। শুরুতেই ফিরে যান অধিনায়ক লিটন দাস। শরিফুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন ৫ বলে ৮ করে। উইল জ্যাকস হন রানআউট (৫ বলে ৯)।
শরিফুল তার দ্বিতীয় শিকার বানান ইমরুল কায়েসকে (১)। ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কুমিল্লা। সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয় আর ব্রুকে গেস্টের ৬৯ বলে ৮৪ রানের জুটি। এই জুটিতে মূল অবদান হৃদয়েরই। ব্রুকে ৩৫ বলে করেন ৩৪।
এরপর বলতে গেলে একা হাতে ম্যাচ বের করেছেন হৃদয়। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি করার পর দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। বিপিএলে ষষ্ঠ বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি দেখালেন হৃদয়।
এর আগে নাইম শেখ আর সাইফ হাসানের জোড়া ফিফটিতে ভর করে দুর্দান্ত ঢাকা দাঁড় করায় ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে শুরুতে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকে (১৩ বলে ১৪) হারালেও এরপর নাইম শেখ আর সাইফ হাসানের দারুণ এক জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা।
দ্বিতীয় উইকেটে নাইম আর সাইফ ৭৮ বলে যোগ করেন ১১৯ রান। দুজনই করেন ফিফটি। নাইম ৪৫ বলে ৬৪ করেন ৯ চার আর ১ ছক্কায়। সাইফের ৪২ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মার।
শেষদিকে অ্যালেক্স রস ১১ বলে করেন অপরাজিত ২১। ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন এসএম মেহরব।
কুমিল্লার ম্যাথিউ ফোর্ডে ৩৫ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। আলিস আল ইসলাম ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
মোস্তাফিজুর রহমান দুই ওভারেই ৩৩ রান খরচ করলে তার কোটা আর পূর্ণ করার সাহস করেননি অধিনায়ক।
এমএমআর/এমকেআর