ফিলিস্তিনে সাহায্য পাঠাতে সেই ‘প্রতিবাদী’ জুতা নিলামে তুলছেন খাজা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থ টেস্টের আগে নিজের জুতায় একটি বিশেষ বার্তা লিখে অনুশীলনে নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা। যদিও সেই জুতা পরে তাকে পার্থ টেস্ট খেলতে দেয়নি আইসিসি। জুতায় খাজা লিখেছিলেন, ‘সকল জীবনই সমান গুরুত্বপূর্ণ, স্বাধীনতা মানুষের অধিকার।’

এবার ফিলিস্তিনি শিশুদের সাহায্য পাঠাতে সেই ‘প্রতিবাদী’ জুতা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খাজা। নিলাম থেকে যে অর্থ পাবেন, সেই অর্থে ফিলিস্তিনি শিশুদের মানবিক সাহায্য করতে চান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে খাজা জানিয়েছেন, তিনি ইউনিসেফের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করে গাজার শিশুদের সাহায্য করার অঙ্গিকার করেছেন।

পোস্টে খাজা লেখেন, ‘সবাইকে স্বাগতম। আমি ঘোষণা করতে চাই যে, আমার জুতা নিলামে তুলেছি। সমস্ত আয় ইউনিসেফের গাজার শিশুদের দেওয়া হবে। আগের চেয়ে এখন বাচ্চাদের বেশি সাহায্যের প্রয়োজন। সবসময়ের মতো আপনাদের সমর্থন এবং উদারতার জন্য ধন্যবাদ। আমরা সবাই অনেক চমৎকার মানুষ।’

 
 
 
View this post on Instagram

A post shared by Usman Khawaja (@usman_khawajy)

খাজা আরও বলেন, ‘আমি এটি সবচেয়ে সম্মানজনক উপায়ে করার চেষ্টা করছি। আমার জুতা উপর যে লিখেছি, তার জন্য তেমন বেশি চিন্তা করিনি। আমি নিশ্চিত করেছি যে, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সম্প্রদায় বিবেচনা করে আমি কাউকে আলাদা করতে চাই না। তাই আমি ধর্মকে এর বাইরে রেখেছি। আমি সত্যিই খোলা মনের কথা বলতে চেয়েছিলাম। কারণ আমি মানবিক বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলছি এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণার একটি অনুচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলছি, এটি আক্ষরিক অর্থেই এর মূল বিষয়।’

পার্থ টেস্টে খাজা তার বার্তা লেখা জুতা পরে খেলতে পারেননি আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে। পরে ওই ম্যাচে হাতে কালো আর্মব্রান্ড পরে খেলতে নেমেছিলেন পাকিস্তান বংশোদ্ভুত অসি ওপেনার। খাজার এই কাজকে আইন বহির্ভূত বলে তাকে তিরস্কার করেছে আইসিসি। পরে আইসিসির কঠোর সমলোচনাও করেছেন।

এমএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।