একই ব্যক্তি ক্রীড়ামন্ত্রী আর বিসিবি প্রধান!

আইনে বাধা নেই, চোখে লাগে বৈকি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:১৮ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৪
নাজমুল হাসান পাপন/ফাইল ছবি

তখনো দপ্তর বণ্টনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে তিনি একা নন, সারাদেশ জেনে গেছে নাজমুল হাসান পাপন আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন এবং তিনি পূর্ণ মন্ত্রী পদেই শপথ নেবেন।

ঠিক তখনই সাংবাদিকের প্রশ্নর উত্তরে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, খুব বেশিদিন নয়, মন্ত্রী হওয়ার পর বছর দেড়েকের মধ্যেই হয়তো তিনি বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।

তার আগে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ায় কিছু আইনি জটিলতা ও সমস্যা আছে। এমন কথাও বলেন নাজমুল হাসান পাপন। তার শেষ কথা ছিল, আমার চলতি মেয়াদ শেষ হলেই আমি বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সড়ে যাবো।

যদিও মন্ত্রীদের বিসিবি বিগ বসের দায়িত্বে থাকা নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠনতন্ত্র এবং সংবিধানে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। মানে কোনই আইনি জটিলতা নেই এবং ইতিহাস জানাচ্ছে, এর আগেও গত প্রায় তিন যুগের বেশি সময়ে চারজন মন্ত্রী (দুজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, একজন পরিকল্পনামন্ত্রী আর একজন নৌপরিবহন মন্ত্রী) বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুন>> যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হলেন পাপন

কিন্তু একই ব্যক্তি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক আবার তিনিই বিসিবির প্রধান, এটা সাংঘর্ষিক কি না?

এতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইনে কোনো বাধা আছে কি না?

নাজমুল হাসান পাপনই যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী, আবার তিনিই বিসিবি প্রধান, এটা কেমন দেখায়? এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কথাবার্তা। অনেকেরই ধারণা, এখানে সম্ভবত কোনো আইনি জটিলতা আছে। একই ব্যক্তি ক্রীড়ামন্ত্রীর পাশাপাশি অন্য কোনো ফেডারেশনের প্রধান হতে পারবেন না বা থাকতে পারবেন না- খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এনএসসি ও বিসিবির সংবিধানে এমন কোনো কথা লেখা নেই।

ইতিহাস জানাচ্ছে, এর আগে (২০১৪ - ২০১৮) সাবেক জাতীয় ফুটবলার আরিফ খান জয় আওয়ামী লিগের মন্ত্রিসভায় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি একই সময় ও অভিন্ন মেয়াদে জয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেরও সহ-সভাপতি পদেও ছিলেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাপনই হতে যাচ্ছেন দেশের প্রথম ক্রীড়ামন্ত্রী, যিনি একই সঙ্গে একটি শীর্ষ ক্রীড়া ফেডারেশনেরও (বিসিবি) প্রধান হলেন।

মোদ্দা কথা, নিয়মে কোনো বাধা নেই। এ কারণেই আইন মেনে নাজমুল হাসান পাপনের ক্রীড়ামন্ত্রীর পাশাপাশি বিসিবি সভাপতি থাকাটাকে স্বার্থের সংঘাত বলার অবকাশ নেই। তবে একই ব্যক্তি দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রধান অভিভাবক, আবার তিনিই একটি ফেডারেশনের প্রধান। বিষয়টা চোখে লাগে বৈকি।

এআরবি/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।