যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হলেন পাপন
এর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল প্রতিমন্ত্রীর কাঁধে। জাহিদ আহসান রাসেল ছিলেন এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। এবারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তার। এবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পেয়েছে পূর্ণমন্ত্রী। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
নাজমুল হাসান পাপনকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদানের মধ্য দিয়ে ৩৪ বছর এ মন্ত্রণালয় পেলো একজন পূর্ণ মন্ত্রী। সর্বশেষ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় পার্টির সরকারের আমলে নিতাই রায় চৌধুরী ১৯৯০ সালে। তার আগে তিনি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
নিতাই রায় চৌধুরীর পর বিগত বছরগুলোতে প্রতিমন্ত্রীরাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর থেকে প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উপদেষ্টারা এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নাজমুল হাসান পাপন ও নিতাই রায় চৌধুরীর আগে এ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, শামসুল হুদা চৌধুরী, জাকির খান চৌধুরী, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও সুনিল কুমার গুপ্ত।
এ মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন একমাত্র আরিফ খান জয়। জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক ২০১৪ সালে প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদারের সঙ্গে ৫ বছর ছিলেন মন্ত্রণালয়ে।
নাজমুল হক পাপন কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লিগের সাবেক সভানেত্রী প্রয়াত আইভি রহমানের পুত্র।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রীর তালিকা
১. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী (মন্ত্রী) ২. তাহেরউদ্দিন ঠাকুর (প্রতিমন্ত্রী) ৩. আবুল ফজল (উপদেষ্টা) ৪. শামসুল হুদা চৌধুরী (মন্ত্রী) ৫. আমিরুল ইসলাম কালাম (প্রতিমন্ত্রী) ৬. নুর হোসেন (প্রতিমন্ত্রী) ৭. শফিকুল গণি স্বপন (প্রতিমন্ত্রী) ৮. জাকির খান চৌধুরী (মন্ত্রী) ৯. মোস্তফা কামাল হায়দার (প্রতিমন্ত্রী) ১০. সুনীল কুমার গুপ্ত (মন্ত্রী) ১১. শেখ শহিদুল ইসলাম (উপমন্ত্রী) ১২. শেখ শহিদুল ইসলাম (প্রতিমন্ত্রী) ১৩. লে. কর্নেল অব. এইচ এম এ গাফফার (প্রতিমন্ত্রী) ১৪. আবুল খায়ের চৌধুরী (প্রতিমন্ত্রী) ১৫. এ বি এম রুহুল হাওলাদার (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা) ১৬. এ বি এম রুহুল হাওলাদার (মন্ত্রী) ১৭. নিতাই রায় চৌধুরী (প্রতিমন্ত্রী) ১৮. নিতাই রায় চৌধুরী (মন্ত্রী) ১৯. আলমগীর এম এ কিবরিয়া (উপদেষ্টা) ২০. মির্জা আব্বাস (প্রতিমন্ত্রী) ২১. সাদেক হোসেন খোকা (প্রতিমন্ত্রী) ২২. অধ্যাপক মো. শামসুল হক (উপদেষ্টা) ২৩. ওবায়দুল কাদের (প্রতিমন্ত্রী) ২৪. এ এস এম শাহজাহান (প্রতিমন্ত্রী) ২৫. ফজলুর রহমান পটল (প্রতিমন্ত্রী) ২৬. সি এম শফি সামি (উপদেষ্টা) ২৭. শফিকুল হক চৌধুরী (উপদেষ্টা) ২৮. তপন চৌধুরী (উপদেষ্টা) ২৯. মাহবুব জামিল (স্পেশাল অ্যাসিস্টেন্ট) ৩০. মো. আহাদ আলী সরকার (প্রতিমন্ত্রী) ৩১. মো. মুজিবুল হক চুন্নু (প্রতিমন্ত্রী) ৩২. ড. বীরেন শিকদার (প্রতিমন্ত্রী) ৩৩. আরিফ খান জয় (উপমন্ত্রী) ৩৪. মো. জাহিদ আহসান রাসেল (প্রতিমন্ত্রী) ৩৫. নাজমুল হাসান পাপন (মন্ত্রী)
আরআই/এমএমআর/জেআইএম