মেহেদী-শরিফুলে কাঁপছে নিউজিল্যান্ড
পুঁজি মাত্র ১১০ রানের। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল যে বোলারদের স্বর্গ, তা বেশ ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মেহেদী-শরিফুলরা। ৪৯ রানেই কিউইদের ব্যাটিং শক্তির অর্ধেক সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা। ভয়ঙ্কর হওয়ে ওঠা ফিন অ্যালেনকেও বোল্ড করেছেন শরিফুল ইসলাম।
ওপেনার ফিন অ্যালেন একপ্রান্ত ধরে কিছুক্ষণ ব্যাট না করলে হয়তো আরও বড় বিপর্যয়ে পড়তে পারতো নিউজিল্যান্ড। সবচেয়ে বড় কথা চার ব্যাটারের সবাই যখন ১ রান করে ফিরে যান, তখন কিউইদের দুর্দশা বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। মেহেদী এবং শরিফুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একজন হলেন রানআউট।
এ রিপোর্ট লেখার সময় নিউজিল্যান্ডের রান ৯.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬২। ১৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন জিমি নিশাম। মিচেল সান্তনার ব্যাট করছেন ২ রান নিয়ে।
নেপিয়ারের স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনলেন শেখ মেহেদী হাসান। ওই ম্যাচেও শুরুতে কিউই ইনিংসে আঘাত হেনেছিলেন তিনি। এবারও মাত্র ১১০ রানকে পুঁজি করে বোলিং করতে এসে শুরুকেই ২ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। ফেরালেন টিম সেইফার্ট এবং ড্যারিল মিচেলকে।
প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১১০ রানে। জবাব দিতে নেমে কিউই ব্যাটার ফিন অ্যালেন শুরু থেকেই মারমুখি। অন্যপ্রান্তে মারমুখি ছিলেন বোলরা মেহেদী। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১৬ রানের মাথায় স্ট্যাম্পিং হয়ে যান টিম সেইফার্ট। ১ রান করেন তিনি।
এরপর দলীয় ২৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ড্যারিল মিচেল। মেহেদীর বলে নাজমুল শান্তর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। করেন ১ রান। এরপর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন গ্লেন ফিলিপস। ৪ বলে তিনিও করেন ১ রান।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে সর্বোচ্চ ফায়দা লুটে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড বোলাররা। বাংলাদেশকে রানই করতে দেয়নি সঠিকভাবে। ১৯.২ ওভারে অলআউট করেছে ১১০ রানে।
নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শেষ করা যায়নি। পরিত্যাক্ত ঘোষণা করতে হয়। আজ তৃতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই স্লো ব্যাটিং আর উইকেট হারানোর মিছিলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
শুরুতেই টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে উইকেট পতনের সূচনা করেন সৌম্য সরকার। ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। রনি তালুকদার এলবিডব্লিউ হলেন বেন সিয়ার্সের বলে। ১০ বলে তিনি করেন ১০ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিলই। ৩১ রানে দ্বিতীয়, ৪১ রানে তৃতীয়, ৫৯ রানে তৃতীয়- এভাবে একের পর এক উইকেট পড়ছিলই। সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ রান আসে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। আফিফ হোসেন করেন ১৪ রান।অৎ
রিশাদ হোসেন ১০ রান করেন। এছাড়া লিটনের পরিবর্তে খেলা শামীম হোসনে পাটোয়ারী করেন মাত্র ৯ রান। শেখ মেহেদী ১৩ বলে করেন ৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৪ বল বাকি থাকতেই ১১০ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেট নেন মিচেল সান্তনার, ২টি করে উইকেট নেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে এবং বেন সিয়ার্স।
আইএইচএস/জেআইএম