খাজাকে দমাতে পারছে না আইসিসি, এবার জুতায় লিখলেন দুই মেয়ের নাম
আইসিসির দ্বিচারিতা নীতি নিয়ে সমালোচনা চারদিকে। অতীতে ক্রিকেট মাঠে অনেকেই তাদের ধর্মীয় চিহ্ন, মানবতার বাণী ব্যবহার করেছে। সেটি নিয়ে সমস্যা ছিল না। কিন্তু ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়ানোয় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার উসমান খাজাকে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে হাজার হাজার শিশু। হাসপাতাল পর্যন্ত গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বিমান হামলায়। খাবার নেই, পানি নেই, জীবন ধারণের জন্য ওষুধ পর্যন্ত নেই। এমন অন্যায়-অবিচার মানতে না পেরে, মানবতার বাণী লিখে মাঠে খেলতে নামতে চেয়েছিলেন উসমান খাজা।
কিন্তু এ বিষয়ে তার যে কোনো উদ্যোগকেই বাধাগ্রস্ত করতে সচেষ্ট হয়েছে আইসিসি। বার্তা লেখা জুতা পরতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। পরে উসমান খাজা কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন। এখানেও আইসিসির বাধা। তারা খাজাকে অভিযুক্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। খাজা জানিয়েছিলেন, এক নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ায় কালো আর্মব্যান্ড পরেছিলেন।
তবুও আইসিসি বাধা দেওয়ায় খাজা চেয়েছিলেন, শান্তির প্রতীক ‘ঘুঘু’র স্টিকার জুতায় লাগিয়ে মাঠে নামবেন। অনুশীলনে সেই ঘুঘুর ছবিও প্রদর্শন হয়েছে। পাশে লেখা ‘০১:ইউডিএইচআর।’ অর্থাৎ ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস- এর এক নম্বর ধারা। যেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষই স্বাধীন এবং তার সমান সম্মান ও অধিকার রয়েছে।
এখানেও বাগড়া দেয় আইসিসি। তারা আবারও বার্তা পাঠায়, ‘না, উসমান খাজা শান্তির প্রতীক ব্যবহার করেও খেলতে নামতে পারবে না।’
কিন্তু উসমান খাজাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। এবার নীরব প্রতিবাদ হিসেবে নিজের দুই শিশুকন্যা আয়শা আর আয়লার নাম জুতায় লিখে মাঠে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিন খাজার জুতায় দুই কন্যার নাম দেখা যায়।
এমএমআর/এএসএম