আর ৪০-৫০ রান হলে ম্যাচটা জিততো বাংলাদেশ!
এর চেয়ে ভাল ও উজ্জ্বল ফেরা আর কি হতে পারে? একদমই রানে ছিলেন না। অবশেষে ২৯ ম্যাচ পর পেলেন শতরানের দেখা। তাও ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা ইনিংস (১৫১ বলে ১৬৯)।
যা শুধু সৌম্য সরকরেরই নয়, একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদেরও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। নিজের সাফল্যের পুরস্কারও জুটলো। নেলসনে ম্যাচ শেষে সেরা পারফরমারের পুরস্কারটা উঠেছে সৌম্য সরকারের হাতেই।
কিন্তু এ ‘বিগ হান্ড্রেড’ আর ম্যান অফ দ্য ম্যাচ এর পুরস্কার কোনটাই উপভোগ করতে পারেননি সৌম্য সরকার। উৎসব-আনন্দ কিছুই হলো না। উল্টো পরাজয়ের হতাশায় মাঠ ছাড়তে হলো একবুক আক্ষেপ নিয়ে। কারণ, তার শতকটি কাজ দেয়নি। সৌম্যর ১৬৯ রানের বিশাল ইনিংসটির ওপর ভর করে যে ২৯১ রানের স্কোর গড়ে উঠেছিল, কারণ তাও কোন কাজে আসেনি। শান্তর দল হেরেছে ৭ উইকেটে।
তাই সৌম্যর সেঞ্চুরি গেলো বিফলে। সৌম্যও তাই মনে করেন, ‘অবশ্যই সেঞ্চুরিটা বিফল মনে হচ্ছে। যদি ম্যাচ জিততাম তাহলে ভালো লাগত নিজের কাছে। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলেন হ্যাঁ, ভালো লাগছে; কিন্তু দিনশেষে, এটা দলীয় খেলা। দল জিতত তাহলে পরিপূর্ণ হতো, ভালো স্মৃতি থাকত।’
সৌম্যর ধারনা তাদের স্কোরটা কম হয়ে গেছে, ‘আরও ৪০-৫০ রান যদি যোগ করতে পারতাম তাহলে চিত্রটা ভিন্ন হতো।’
কেন স্কোর লাইন আরও বড় হলো না? সৌম্যর ব্যাখ্যা, শুরুতে বেশি উইকেট পড়ে যাওয়ায় তা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্লি কিছু উইকেট চলে গেছে। সেটা যদি না যেত তাহলে হয়তো আমাদের একটা জুটি ওখানে হলে মুশি ভাই বা মিরাজ এসে আগাত। আবার মুশি ভাই বা মিরাজ এসে যখন আউট হয়েছে তখন আউট না হলে রানটা বাড়তো । মুশি ভাই বা মিরাজ ক্লিক করলে আরও স্কোর আরও লম্বা হতো।’
চাপ ছিলো কি না? জবাবে সৌম্য বলেন, ‘চাপ ভাই, প্রত্যেকটা বলই চাপ। একটা বলই লাগে আউট হতে। শুরুতে একটু সময় তো লেগেছেই। দু’একটা ভালো জিনিস ছিলো। পঞ্চাশ হওয়ার পর অন্যদিকে আউট হয়ে গেলেও ক্রিজে থেকে হান্ড্রেড করেছি। কিছু সময় আটকে গেছি, আবার কিছু সময় দ্রুত রান করেছি। সব মিলিয়ে ভালো ছিলো।’
এতদিন ভাল খেলতে না পারার কোন আফসোস আছে কি না? আর পরের সেঞ্চুরি কবে ধরা দেবে? এমন প্রশ্নর মুখোমুখি হয়ে সৌম্য বোঝানোর চেষ্টা করলেন, সেঞ্চুরি পরের ম্যাচেই হতে পারে। এখন তার একটাই লক্ষ্য, জাতীয় দল থেকেই অবসরে যাওয়া।
তার ভাষায়, ‘কখনো নিজের থেকে খারাপ খেলতে চাই নাই। তো চাইব যে আগামীতেও এইভাবে কন্টিনিউ করতে পারি। যতটুকু পারি চেষ্টা করব এগিয়ে যাওয়ার।’
এআরবি/আইএইচএস