নিজেকে কীভাবে ফিরে পেলেন, জানালেন সৌম্য

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

খারাপ খেলারও একটা মাত্রা থাকে। সৌম্য সরকার যেন সে মাত্রা অতিক্রম করে ফেলেছিলেন বহু আগে। সেই ২০১৯ সালের মে মাসে শেষ ফিফটি। তারও এক বছর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে শেষবার শতরানের দেখা পেয়েছিলেন বাঁ-হাতি ওপেনার সৌম্য।

এরপর নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। টানা ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকলেন। রান খরায় ভুগে সৌম্যর ক্যারিয়ারের প্রায় বারোটা বাজার উপক্রম হয়েছিল। দলে জায়গা পাওয়াই তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল।

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে এবার দলে আলেন। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে ফিরলেও আজ ২০ ডিসেম্বর নিজেকে ফিরে পেলেন। নেলসনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুন এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন। দল জেতাতে না পারলেও ১৫১ বলে ১৬৯ রানের দারুন ঝলমলে ইনিংস উপহার দিয়ে হলেন ম্যাচ সেরা।

একদমই রান পাচ্ছিলেন না। সেখানে দীর্ঘ সময় পর এত বড় সেঞ্চুরি, লিটন দাসের ১৭৬ রানের পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে ফেললেন। এ খারাপ সময়টায় কি ভাবতেন সৌম্য? নিজের ওপর আস্থা ও বিশ্বাসটা কতটা ছিল? নাকি হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন?

বুধবার খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে উঠল প্রশ্ন। জবাব শুনে মনে হলো, সৌম্য খেই হারাননি। নিজের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা ছিল।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল নিজের খেলার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, আমার যে প্রক্রিয়া ছিলো সেই প্রক্রিয়ার উপর আস্থা ছিলো।’

সবার আগে নিজের পরিবার ও স্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন সৌম্য। তিনি বলেন, ‘সবকিছুর আগে আমি ধন্যবাদ দিবো আমার পরিবারকে। আমার বউকে। সবকিছুতে সমর্থন করার জন্য। আমার সতীর্থরা তো আছেই। যতটুকু অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি, ব্যাটিং করছি সেও অনেক সমর্থন করেছে। যে ইতিবাচক কথা বলে আমি তার সঙ্গেই থাকি।’

‘আমি তো খেলোয়াড়, আমাকে খেলতেই হবে। ভালো খেললে হয়তোবা ভালো নিয়ে লিখবেন, খারাপ করলে খারাপ নিয়ে লিখবেন। এটা আপনাদের কাজ, আমার কাজ খেলা। ওগুলো নিয়ে ওইরকমভাবে অত ভাবা হয়নি। ভাবলে হয়তবা নিজের উপরই চাপ আসত। বা নিজের উপর নেতিবাচকতা বেশি আসত।’

পরিবার ও স্ত্রীর কথাতো বললেন, কোচ হাথুরুসিংহের কোন টনিক আপনাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জুগিয়েছে? ধারনা করা হয় কোচ হাথুরুর দাওয়াই আপনার ফেরাকে ত্বরান্বিত করেছে। সৌম্য জানালেন, নাহ! তেমন কোন দাওয়াই ছিল না।

তিনি বলেন, ‘এরকম কোন কিছুই না। আমি সৌম্য সৌম্যই ছিলাম। হয়তোবা কোচ হাথুরুসিংহে আমাকে ভালো বোঝেন। এজন্য ছোট এক জিনিস বলেছেন, যা আমার জন্য ক্লিক করেছে।’

হাথুরু আসলে তাকে কি বুঝিয়েছেন, তার প্রতি হেড কোচের বার্তা কি ছিল? সৌম্য তা মুখে না বললেও কথায় বুঝিয়ে দিলেন, হাথুরু তাকে পজিটিভ থাকতে বলেছেন। পজিটিভ চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

‘আমরা কিভাবে দেখি সেটা বড় বিষয়। একটা মানুষ হেঁটে গেলে তার মধ্যে অনেক নেগেটিভিটি পাবেন। আপনি যদি কেবল নেগেটিভি দেখতে চান নেগেটিভিটিই দেখবেন। পজিটিভ চিন্তা করলে পজিটিভ জিনিস পাবেন। হয়ত উনি পজিটিভ জিনিসটাই চিন্তা করেন।’

এআরবি/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।