মনে করেন ফিলিপস
শরিফুল আগে বোলিংয়ে আসলে ভিন্ন কিছু হতে পারতো
৫৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে খেলতে নামে নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টি ভেজা পিচ দেড় দিন কভারে ঢাকা ছিল, আর্দ্রতা জন্ম নিয়েছে খুব প্রকৃতিগতভাবেই। এই পিচে পেসার ব্যবহারটাই ক্রিকেটীয় যুক্তি ও দর্শনে স্বাভাবিক।
কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেই প্রথাগত পথে না হেঁটে দুই স্পিনার তাইজুল আর মিরাজকে দিয়ে বোলিং শুরু করালেন। ৫৩ মিনিট পর বল হাতে তুলে দেওয়া হলো বাংলাদেশের হয়ে এ টেস্ট খেলা একমাত্র পেসার শরিফুলের হাতে।
শরিফুল ইসলাম প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু উপহার দিলেন। দ্বিতীয় ওভারে আবার আঘাত হেনে আউট করলেন নিউজিল্যান্ড ইনিংসের টপ স্কোরার গ্লেন ফিলিপসকে।
বৃষ্টি ভেজা ময়েশ্চারযুক্ত পিচে শরিফুলকে আরও আগে আনা যেতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক দেরিতে শরিফুলের হাতে বল তুলে দিলেও নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন টিম সাউদি ঠিকই ৫ নম্বর ওভারে বোলিংয়ে আসেন এবং এসেই বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্তর উইকেট দখল করেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত কি শরিফুলকে দেরিতে আনলেন বোলিংয়ে? অনেক দেরিতে বোলিং করার সুযোগ পেয়ে ৩ ওভারে ২ উইকেট দখল করে শরিফুল কি বার্তা দিলেন, তাকে আরও আগে আনলে কি নিউজিল্যান্ড ইনিংস আরও আগে শেষ হতে পারতো?
খেলা শেষে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন নিউজিল্যান্ড ইনিংসের টপ স্কোরার গ্লেন ফিলিপস। তার ব্যাখ্যা, ‘আসলে তাইজুলের প্রথম বলটি যখন টার্ন করলো, তখনই হয়তো অধিনায়ক খানিক ধাঁধায় পড়ে যান। হয়তো সে কারণেই তিনি পেসার শরিফুলকে দেরিতে বোলিংয়ে আনেন। শরিফুল আরও আগে বোলিংয়ে আসলে কি হতো? তা কে জানে? তবে হ্যাঁ, এতে করে ভিন্ন কিছুও হতে পারতো।’
‘তবে আমি বলবো যখনই বোলিংয়ে আসেন না কেন, শরিফুল একটা ইতিবাচক ইমপ্যাক্ট রাখতে পেরেছেন। এবং সত্যিই ভালো বোলিং করেছেন।’
ফিলিপস যোগ করেন, ‘দুই দলের অধিনায়কের নিজস্ব মতামত, চিন্তা ভাবনা ও ক্রিকেট দর্শন থাকে। তাদের সবার সব সিদ্ধান্ত সবসময় সফল হয় না।
তবে এটা সত্য যে, যখনই হোক না কেন শরিফুল বোলিংয়ে এসে দারুণ বল করেছেন। তার বলে বাড়তি বাউন্স ছিল। কিছু বল সুইংও করেছে।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম