বল হাতে নিয়েই উইকেট মুমিনুলের, উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি
একটা প্রান্ত ধরে আছেন কেন উইলিয়ামসন। একের পর এক জুটি গড়ে যাচ্ছেন। গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটেই ৭৬ রান যোগ করেন। কিছুতেই জুটিটা ভাঙছিল না।
অবশেষে কিউই ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মুমিনুল হকের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর বল হাতে নিয়েই অধিনায়ককে উইকেট উপহার দেন মুমিনুল। টার্ন করা বল ফিলিপসের (৪২) ব্যাটে লেগে প্রথম স্লিপে গেলে নিচু ক্যাচ দারুণভাবে লুফে নেন শান্ত।
তবে উইলিয়ামসন ঠিকই টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৬ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫৫ রান। উইলিয়ামসন ১০০ আর কাইল জেমিসন শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
দ্বিতীয় দিনে খেলতে নেমে প্রথম বলেই বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৩১০ রানে। ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানের মাথায় ২ উইকেট হারায় কিউইরা। সেখান থেকে ম্যাচ দখলে রাখেন কেন উইলিয়ামসন। জুটি গড়েন হেনরি নিকোলস, ড্যারেল মিচেল ও টস ব্লান্ডেলের সঙ্গে।
একে একে সবাইকে ফেরান তাইজুল-মিরাজ-শরিফুল-নাইমরা। তবে ফেরাতে পারেননি আঠার মতো লেগে থাকা উইলিয়ামসনকে।
এই ডানহাতি ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়া নিকোলস ১৯ রান করে পেসার শরিফুলের শিকার হয়ে ফেরত যান। মিচেল আউট হন তাউজুলের ঘূর্ণিতে (৫৪ বলে ৪১)। নাইম হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ব্লান্ডেল করেছেন ৬ রান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওপেন করেন ডেভন কনওয়ে ও টম ল্যাথাম। তাইজুল-মিরাজের ঘূর্ণিতে সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। দলীয় ৩৬ রানের মাথায় ল্যাথাম ও ৪৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান কনওয়ে। ল্যাথামকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলকে সুইপ খেলতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে নাইম হাসানের হাতে ক্যাচ হন ল্যাথাম।
এরপর কনওয়েকে ফেরান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের বলে খেই হারিয়ে শর্টলেগে শাহাদাত হোসেনের তালুবন্দি হন এই কিউই ওপেনার।
মধ্যাহ্নভোজের পর আউট হন নিকোলস। ৪২ বলে ১৯ রান করে শরিফুলের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তার আগে উইলিয়ামসনের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি করেছিলেন নিকোলস।
গতকাল মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮৫.১ ওভারে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার আগেই হন ইশ সোধির শিকার। ১৬৬ বলে ১১ বাউন্ডারি হাঁকানো এই ব্যাটার সোধির বলে ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ হন।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক করেন সমান ৩৭ রান। ফিলিপসের ফুলটস বলে মিড-অনে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পিচে সেট হওয়া শান্ত। ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হন মুমিনুল। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ক্যাচ হন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে।
এরপরই মূলত বিপত্তি ঘটে বাংলাদেশের। ৫৩ রানে হারায় ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনে রানটা আরেকটু বাড়বে আশা ছিল। কিন্তু কোনো রান যোগ না করেই অলআউট হতে হয় টাইগারদের।
কিউই পার্টটাইম অফস্পিনার গ্লেন ফিলিপস একাই নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার কাইল জেমিসন আর অ্যাজাজ প্যাটেলের। অধিনায়ক সাউদি ও ইশ সোধি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এমএমআর/এমএস