কেমন হবে ফাইনালের উইকেট? তৈরি করছেনই বা কে?
মুম্বাইয়ে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে হঠাৎ করেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো উইকেট নিয়ে। স্বাগতিক ভারত নাকি নিজেদের সুবিধার্থে হঠাৎই খেলার পিচ পরিবর্তন করে ফেলেছে। এই বিতর্ক মাথায় নিয়েই সেমিফাইনাল খেলতে হয়েছে ভারতকে এবং নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আগামীকাল রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে নামছে রোহিত শর্মার ভারত। বিশ্বাকপের মেগা ফাইনালের আগে আবারও আলোচনায় উইকেট। ম্যাচটা যখন বিশ্বকাপের ফাইনাল, তখন এ নিয়ে তুমুল আলোচনা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে, এবার আলোচনাটা বেশি উইকেট নিয়েই।
ফাইনালের উইকেট কেমন হবে? সেখানে কোন দল সুবিধা বেশি পাবে? কে’ই বা তৈরি করছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের উইকেট? ফাইনাল শুরুর আগে কী সেই উইকেট পরিবর্তন করে ফেলা হবে?
বিতর্কের ডালপালায় পানি ঢালার কাজটি করে দিয়েছেন খোদ আইসিসির প্রথম পিচ কিউরেটর অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন। ফাইনালের আগেই তিনি ফিরে গেছেন নিজ দেশে। যার ফলে ফাইনালের উইকেট তৈরি করছেন ভারতীয়রায়। এই খবরেই সবচেয়ে বেশি চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
তবে, আপাতত এই জ্বল্পনার অবসান ঘটেছে। প্রথমে গুঞ্জন শোনা গেলেও পরে জানা গেছে অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন চলে যাননি। ভারতেই রয়েছেন। যদিও শুক্রবার আহমেদাবাদে ফাইনালের ভেন্যুর আশপাশেও দেখা যায়নি তাকে।
মূলতঃ অ্যাটকিনসনকে না দেখা যাওয়ার কারণেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেমিফাইনালে ওয়াংখেড়ের পিচ বদলে ফেলার অভিযোগের কারণেই এই বিতর্ক। এর মাঝেই জানা গেলো, আহমেদাবাদে ফাইনালের চূড়ান্ত পিচ প্রস্তুত করার দায়িত্ব এখন দুই ভারতীয়ের হাতে। তারাই অ্যাটকিনসনের নির্দেশ মেনে কাজ করছেন। অ্যাটকিনসন আজ (শনিবার) এসে তদারকি করবেন।
বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘অ্যাটকিনসনের কাজ শেষ। সে জন্য চলে গেছে। দয়া করে এখানে কোনও বিতর্ক খুঁজতে যাবেন না। কারণ কোনো বিতর্কই নেই এতে। আইসিসি-র কোনও নিয়মেই লেখা নেই যে ফাইনালে প্রধান পিচ প্রস্তুতকারককে থাকতেই হবে ‘
কিন্তু আইসিসি’র একটি সূত্র পিটিআইকে বলেছে, ‘অ্যাটকিনসন বাড়ি যাননি। আইসিসির কর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার দুপুরেই আহমেদাবাদে এসেছেন তিনি। তবে মাঠে আসেননি। শনিবার মাঠে এসে পিচ দেখবেন।’
এসবের পরও বিতর্ক এড়ানো যাচ্ছে না। কারণ, অ্যাটকিনসন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন। ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনালে পিচ বদলানোর প্রসঙ্গে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তিনিই। যদিও আইসিসি’র পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ততক্ষণে যা বিতর্ক হওয়ার হয়ে গেছে। বোদ্ধারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন, আহমেদাবাদের ফাইনালেও কোনও ব্যবহৃত উইকেটে খেলা হতে পারে।
শুক্রবার দুপুরে অনুশীলনে গিয়ে রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড় পিচ পরীক্ষা করেন। খুব বেশি দুশ্চিন্তা তাদের চোখে-মুখে দেখা যায়নি। আইসিসি’র খবর অনুযায়ী, বিসিসিআই’র প্রধান পিচ প্রস্তুতকারক আশিস ভৌমিক এবং তার সহকারী তাপস চট্টোপাধ্যায় ফাইনালের চূড়ান্ত পিচ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। সঙ্গে থাকবেন বোর্ডের মুখ্য কর্মকর্তা আবে কুরুভিল্লা।
এরই মধ্যে পিচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে খোঁচা দেয়া হয়েছে ভারতকে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক এক প্রশ্নের জবাবে বলে দিয়েছেন, ‘আমরা এখনও জানি না পিচ কেমন হতে চলেছে। কাল (শুক্রবার) আহমেদাবাদ যাব। তার পর বুঝতে পারব তরতাজা উইকেটে খেলা হবে নাকি পুরনো উইকেটেই।’
আইএইচএস/