সুযোগ পেয়েই ‘অভিজ্ঞতার খেল’ দেখালেন শামি
বলের কারুকাজ অনেক বেশি। অভিজ্ঞতায়ও এগিয়ে। সর্বোপরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যর ভাণ্ডারটাও অনেক বেশি সমৃদ্ধ। তারপরও টিম কম্বিনেশনের কারণে প্রথম চার খেলায় তিন পেসারের মধ্যে জায়গা পাননি মোহাম্মদ শামি। বসে ছিলেন সাইডবেঞ্চে।
তা নিয়ে কেউ কেউ হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে দুষছেন। শামির মতো সুইং বোলার কেন নেই একাদশে? তা নিয়ে কথাও উঠেছে বেশ।
যদিও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে এর পরিষ্কার ব্যাখ্যা আসেনি। তবে শামিকে বসিয়ে রেখেই অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের সাথে জিতেছে ভারত।
অবশেষে শামির সুযোগ আসলো। সেটাও আবার অটো চয়েজে না, বিকল্প হিসেবে। বাংলাদেশের বিপক্ষে গোড়ালি মচকে যাওয়ায় হার্দিক পান্ডিয়া গেছেন ছিটকে মাঠের বাইরে।
ওদিকে শার্দুল ঠাকুরও বাংলাদেশের বিপক্ষে (৯ ওভারে ৫৯ রানে ১ উইকেট) বল হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। তাই তিন পেসারের কোটায় শামিকে ফিরিয়েছে ভারতীয় টিম ম্যানেজম্যান্ট।
শামিও এ সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। দলে ফিরেই জ্বলে উঠেছেন এ দক্ষ ফাস্টবোলার। বিশ্বকাপে নিজের সেরা বোলিং নৈপুণ্য শামি প্রদর্শন করেছেন আজ। ম্যাচে ৫৪ রানে ৫ উইকেট দখল করেছেন।
এ ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে শামির সেরা বোলিং ছিল ৬৯ রানে ৫ উইকেট। সেটা ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ক্যারিয়ারের প্রায় সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আজ সেই রেকর্ড ভেঙেছেন ৩৩ বছরের শামি।
ধর্মশালায় আজ থার্ড সিমার হিসেবে নিউজিল্যান্ড ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ের সুযোগ পেয়ে একদম প্রথম বলে কিউই টপ অর্ডার ইয়াংয়ের উইকেট নেন সামি। তার বলে অফস্টম্পের বাইরে স্কোয়ারকাট করতে গিয়ে বোল্ড হন ইয়াং।
৪ ওভারের (১/২৩) প্রথম স্পেলে ওই একটি উইকেটই ছিল সঙ্গী। পরে আরও ৩ স্পেলে বল করেন। দুটি স্পেলই ছিল ২ ওভারের। পরের স্পেলে সেখানেও পান ১ উইকেট। আর তৃতীয় স্পেলটি ছিল উইকেটশূন্য।
২ ওভারের শেষ স্পেলের প্রথম ওভারটি করেন ৪৮ নম্বর ওভারে। সেখানে স্যান্টনার আর ম্যাট হ্যানরির উইকেট নেন শামি। আর নিজের দশম ও কিউই ইনিংসের ৫০ নম্বর ওভারের শেষ বলে শামি ফিরিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্টকে।
মূলত ডেথ ওভারে শামির বিধ্বংসী বোলিংয়েই সংগ্রহটা বড় হয়নি নিউজিল্যান্ডের। নিয়মিত বিরতিতে মাত্র ১৭ বলে ১৭ রানে ইনিংসের শেষ ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। যার ৩টি নেন শামি। কিউইদের ইনিংস থামে ২৭৩ রানে।
এআরবি/এমএমআর/জিকেএস