প্রথম দুই ম্যাচ ভুলে যেতে চাইবেন মাথিশা পাথিরানা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩

‘বেবি মালিঙ্গা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছেন এরই মধ্যে। বোলিং অ্যাকশন প্রায় লাসিথ মালিঙ্গার মতো। চেহারায় একটা শিশুসূলভ ভাব আছে। এ কারণেই মূলত মাথিশা পাথিরানার নাম হয়ে গেছে ‘বেবি মালিঙ্গা’। গত আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতে গিয়েই নিজেকে চেনান শ্রীলঙ্কান এই পেসার। শিরোপাজয়ী দলের গর্বিত সদস্য হয়ে উঠলেন তিনি।

জাতীয় দলের হয়েও পারফরম্যান্স বেশ নজরকাড়া। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে জ্বলে উঠেছিলেন। জানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত তিনি। ২০ বছরের এই পেসার ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠছিলেন।

একদিনের ক্রিকেটে এশিয়া কাপের অভিষেকেই সেরা বোলিং পারফরম্যান্স দেখালেন তিনি। আকিব জাভেদ, মুত্তিয়া মুরালিধরন, পিযুষ চাওলার পরই নাম লেখান পাথিরানা। অভিষেকে ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।

এই তালিকার শীর্ষে থাকা আকিব জাভেদ ১৯৯৫ এশিয়া কাপের অভিষেকে ভারতের বিরুদ্ধে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এই রেকর্ড এখন পর্যন্ত কেউ ভাঙতে পারেননি বা ধারেকাছে কেউ যেতে পারেননি। এরপর রয়েছেন মুরালি (৪-২৩) এবং পিযুষ (৪-২৩)। তালিকার পাঁচে রয়েছেন মোহাম্মদ সামি (৪-৫০)।

গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক পাথিরানার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। একই দলের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। গত জুনে প্রথম ম্যাচে খেলার পর এরই মধ্যে নজর কেড়েছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের পর এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটারদেরও নাস্তানাবুদ করেছিলেন এই পেসার।

২০০২ সালে জম্ম নেওয়া এই পেসার এখনই নিজেকে শ্রীলঙ্কার ভরসার জায়গা নিয়ে গেলেন। গত আইপিএলে (২০২২ সাল) চেন্নাই সুপার কিংসে অ্যাডাম মিলনের স্থলাভিষিক্ত হন। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। প্রথম ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন পাথিরানা। আউট করেছিলেন শুভমান গিলকে।

প্রথম শ্রীলঙ্কান বোলার এবং আইপিএলের অষ্টম বোলার হিসেবে তিনি এমন কৃতিত্ব দেখান। আইপিএলে ১৯ উইকেট শিকার করেন। চেন্নাইয়ের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। শুধু তাই নয় সর্বকনিষ্ঠ বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএল জয়ের কীর্তি গড়েন।

আইপিএলের সুবাদে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে খেলার অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। একই টুর্নামেন্টে খেলার কারণে বাঘা বাঘা ব্যাটারদের বিপক্ষে বল করার অভিজ্ঞতা, সে সঙ্গে এশিয়া কাপে নজরকাড়া পারফরম্যান্স- সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ মাতাতেই ভারতে এসেছিলেন তিনি।

যদিও প্রথম দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে চাইবেন এই তরুণ পেসার। কারণ, বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রথম দুই ম্যাচেই বেদম মার খেলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে করলেন মোট ১৯ ওভার। তাতেই রান দিয়েছেন ১৮৫। একজন তরুণ পেসারের পক্ষে যা সত্যিই বেদনাদায়ক। দুই ম্যাচে নিয়েছেন মোট দুটি উইকেট।

এই দুই ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্স ভুলে পরের ম্যাচগুলোয় নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারবেন লঙ্কান এই পেসার? সেটাই দেখার অপেক্ষায় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট সমর্থকরা।

আইএচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।