ওই নতুনের কেতন ওড়ে
প্রোটিয়া বোলিং নেতৃত্ব দিতে পারবেন মার্কো জানসেন?
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যে দুজন কনিষ্ঠ সদস্য রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মার্কো জানসেন। ২০০০ সালের ১ মে জন্ম নেওয়া জানসেন একজন বোলিং অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ছিলেন একজন ওপেনিং ব্যাটার। ৯ বছর বয়সে ২০ ওভারের এক ম্যাচে ওপেনার হিসেবে অপরাজিত ১৬৪ রান করেছিলেন।
মার্কো জানসেনের বাবা এই ম্যাচটা উপভোগ করেছিলেন। তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, আর কিছু না হোক, ছেলের মাঝে ক্রিকেটের ক্ষুধা রয়েছে। তখন তিনি তার অনুশীলনের ব্যবস্থা করেন। ভাইয়ের সঙ্গে ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করেন জানসেন। তার ভাই ডুয়ান তখন নর্থ ওয়েস্টের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন।
কিছুদিন পর ভাইয়ের ক্লাবের হয়ে মার্কো জানসেনের অভিষেক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচটা এ ক্লাবেই খেলেন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রোভিন্সিয়াল কাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন জানসেন। ৬ ম্যাচে তার শিকার সংখ্যা ছিল ২৭ উইকেট। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
জাতীয় দলে ঢোকার আগেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন জানসেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আইপিএলের নিলামে দল পেয়ে যান তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে দলভুক্ত করে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৯ এপ্রিল জানসেন তার অভিষেক ম্যাচ খেলেন। পুরো ৪ ওভার বোলিং করে ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই তিনি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট পেয়ে যান।
একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার আগেই টেস্ট ক্রিকেটের স্বাদ পান জানসেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাক পান তিনি। মে মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও দলে ছিলেন। তবে তার অভিষেক হয় ওই বছরের ডিসেম্বরে। ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন। প্রথম শিকার ছিল জসপ্রিত বুমরাহ।
ওয়ানডেতে জানসেন এ পর্যন্ত ১৫ ম্যাচ খেলেছেন। পেয়েছেন ২০ উইকেট। এর মধ্যে ১৮টিই দেশের মাটিতে। বিদেশের মাটিতে এসে বিশ্বকাপেই পেলেন প্রথম উইকেটের দেখা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৯২ রান খরচায় নিয়েছিলেন ২ উইকেট।
ভারত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অ্যানরিখ নরকিয়া না থাকায় মার্কো জানসেনের ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। তিকি পারবেন বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে প্রোটিয়া পেস বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিতে?
আইএইচএস/