উইকেট নিয়ে কোচ পোথাস বললেন, গামিনির দোষ না
বৃস্পতিবার সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হবে, এমন পূর্বাভাষ ছিলো আগে থেকেই। বাস্তবে হয়েছেও তাই। আজ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ।
বৃষ্টির কারণে কয়েক দফা থেমে যাওয়া খেলাটি ৫০ ওভার থেকে ৪২ ওভারে ছোট হয়ে এসেছিল আগেই; কিন্তু নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ৮.২ ওভার বাকি থাকতেই সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর শুরু করা যায়নি ম্যাচটি। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৩৬ রান।
আগেই জানা অধিনায়ক উইলিয়ামসন, টম ল্যাথাম, ডেভন কনওয়ে, ড্যারিল মিচেল ও জিমি নিশামের মত প্রতিষ্ঠিত তারকারা নেই কিউই লাইনআপে।
তাদের ছাড়া যে দলটি খেলতে নেমেছে, সেই দল শেরে বাংলার বৃষ্টিভেজা পিচে প্রথমেই কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের তোপের মুখে পড়ে। তিন ব্যাটিং স্তম্ভ ফিন অ্যালেন, উইল ইয়ং এবং হেনরি নিকোলস আগেই ফেরেন সাজঘরে। ১৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা কিউইদের টেনে তোলেন ওপেনার উইল ইয়ং ( ৯১ বলে ৫৮) আর হেনরি নিকোলস (৫৭ বলে ৪৪)।
তৃতীয় উইকেটে ৯৭ রানের জুটি গড়েন দুজন। বাঁ-হাতি মোস্তাফিজ ২৭ রানে ৩টি এবং বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ২১ রানে ২ উইকেট দখল করে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের চাপে রাখেন।
বাকি বোলারদের মধ্যে তানজিম সাকিব (৫.৪ ওভারে ০/২৫), শেখ মাহদি (৭ ওভারে ০/২৭) আর মাহমুদউল্লাহ (৪ ওভারে ০/২১) ও সৌম্য সরকার (২ ওভারে ০/১৩) উইকেট পাননি।
কেমন ছিল টাইগারদের পারফরমেন্স? উইকেটের আচরণ, চরিত্র, পেস, বাউন্স কেমন ছিল? খেলা শেষে তা নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন এ সিরিজে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ নিক পোথাস।
তার মূল্যায়ন, আবহাওয়ার ওপর কারো হাত নেই। ক্রিকেটাররা মাঠের পারফরম্যান্সকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; কিন্তু বৃষ্টির ওপরতো আর কারো হাত নেই। তবে দলের সামগ্রিক পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট পোথাস।
তার মূল্যায়ন, খেলাটা হলে এক্সাইটিং হতো। আবহাওয়ার ওপর কারো হাত নেই। উইকেটের চরিত্র বুঝেই নেমেছি। ম্যাচে আমদের নিয়ন্ত্রনই ছিল। পোথাস বোঝানোর চেষ্টা করেন, ‘খেলা ভালোয় ভালোয় শেষ হলে বাংলাদেশের সম্ভাবনাই থাকতো বেশি। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের বোলিংয়ে বেশ সন্তুষ্ট পোথাস। তার ভাষায় মোস্তাফিজ ভাল বল করেছে। নতুন বলে তার বোলিংটা ছিল দারুন।’
ওয়ার্ল্ডকাপের ঠিক আগে সিরিজ। কোথায় ভাল পিচে খেলা হবে। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি না হোক স্পোর্টিং উইকেট তো থাকবে; কিন্তু তার বদলে সেই শেরে বাংলার টিপিক্যাল পিচ। অসম্ভব স্লো আর লো। বল ব্যাটে আসেনি। ফ্রি স্ট্রোক খেলা বহুদুরে, শটস খেলাই ছিল কষ্টের।
উইকেটের এমন হতশ্রী অবস্থা কেন? বাংলাদেশ কি এমন পিচই চেয়েছিল? খেলা শেষে মিডিয়ার কাছ থেকে এমন প্রশ্ন শুনে পোথাস বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ‘না না। আবহাওয়ার কারণেই আসলে পিচের এমন অবস্থা।’
পোথাস স্লো, নির্জীব উইকেটের জন্য শেরে বাংলার কিউরেট গামিনি ডি সিলভাকে দায়ী করতে নারাজ। তার ব্যাখ্যা, ‘শেষ ৩/৪ সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিন না হয় একদিন পর পর বৃষ্টি হচ্ছে। কোনোদিন ২৪ ঘণ্টায় ২/৩ ঘণ্টাও একটানা রোদ পায়নি। এই আবহাওয়ায় উইকেটের পরিচর্যা করা সম্ভব না। গামিনি প্রাণপন চেষ্টা করেও ভাল উইকেট তৈরি করতে পারেননি।’
এআরবি/ আইএইচএস