ভারতকে ২৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

৫৯ রানে ছিল না ৪ উইকেট। আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ, শঙ্কা ছিল তেমন। কিন্তু সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয় দলকে বাঁচালেন বড় বিপদ থেকে।

তাদের শতরানের জুটি আর শেষদিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২৬৬।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপারফোরপর্বের নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে সাকিবদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

নিয়মরক্ষার ম্যাচেও যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে শুরু হয় টাইগারদের। ২৮ রান তুলতে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট।

আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস। এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ২ বলে ০ করে মোহাম্মদ শামির দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন লিটন।

পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন দারুণ শুরু করা তানজিদ হাসান তামিমও। তার ব্যাটে বল লেগে ভেঙে গেছে স্টাম্প। ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন তরুণ এই ওপেনার।

এনামুল হক বিজয় দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এমনই দৃষ্টিকটু শট খেলে ফিরলেন, আবারও তার জন্য দলে জায়গা পাওয়া কঠিনই হবে।

ভারতীয় পেসার শার্দুল ঠাকুরকে চার্জ করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন বিজয়, ক্যাচটি সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটরক্ষক। ১১ বলে ৪ রানে থামে বিজয়ের প্রত্যাবর্তন ইনিংস।

একের পর এক উইকেট পড়ছে। ধস থামাতে প্রমোশন দিয়ে পাঁচ নম্বরে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজ দুইবার জীবন পান। তারপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ১৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত প্রতিরোধ। দুজন মিলে গড়লেন শতরানের জুটি।

চার বছর পর সাকিবকে হাতছানি দিচ্ছিল সেঞ্চুরি। তার ইনিংসটা বলতে গেলে ছিল একদম নিখুঁত। কিন্তু ৩৩ ওভারের পর পানিপানের বিরতি যেন অভিশাপ হয়ে এলো। বিরতির পর মনোসংযোগে চিড় ধরলো, প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন সাকিব।

শার্দুল ঠাকুরের ক্রসসিম ডেলিভারি ব্যাটে লেগে ভেঙে দিলো স্টাম্প। সাকিবের লড়াকু ইনিংসের সমাপ্তি হলো একরাশ হতাশা নিয়ে। ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১১৫ বলে ১০১ রানের।

হৃদয় আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চাপের মুখে খেলেছিলেন ৮২ রানের ইনিংস। আরও একবার দলের বিপদে জ্বলে উঠলো তার ব্যাট। তুলে নিলেন নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম আর টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।

তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ এই ব্যাটার। মোহাম্মদ শামিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লিগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হৃদয়। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে তিনি ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা।

শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৪৫ বলে ৬ চার আর এক ছক্কায় ৪৪ আর শেখ মেহেদির ২৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিম সাকিবও ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন হার না মানা ১৪।

ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩২ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।

এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।