অ্যাশেজের শেষ টেস্ট
ওভালে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া লড়াই চলছে সমানে সমান
কেউ কারও চেয়ে কম নয়। প্রথম ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডকে মাত্র ২৮৩ রানে আটকে রেখে অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিলো, এবার বুঝি তাদের জন্য মাঠ পুরোই ফাঁকা। এবার হয়তো প্রথম দুই টেস্টের মতোই ইংল্যান্ডকে চেপে ধরা যাবে।
কিন্তু না, ইংলিশরাও কম গেলেন না। ইংলিশ বোলাররাও তোপ দাগালেন ওভালের সেন্টার উইকেটে। তাতে করে অস্ট্রেলিয়ানদের বিশাল ইনিংস গড়ার যে স্বপ্ন ছিলো, তা নিমিষেই উধাও। মাত্র ২৯৫ রান করেই অলআউট হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া। লিড নিতে পারলো মাত্র ১২ রানের।
তবে পার্থক্য হলো, ‘বাজবল’ ক্রিকেট ধারণা থেকে বের হয়ে আসেনি ইংল্যান্ড। তারা যে ২৮৩ রান করেছে, তা বাজবল ক্রিকেটেরই প্রমাণ। এই ২৮৩ রান এসেছে মাত্র ৫৪.৪ ওভারে। ওভারপ্রতি রান তুলেছে ৫.১৭ করে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ২৯৫ রান করেছে ১০৩.১ ওভারে। তারা ওভারপ্রতি গড়ে রান তুলেছে ২.৮৫ করে।
ইংল্যান্ডকে ২৮৩ রানে আটকে রেখে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পর উসমান খাজা এবং ডেভিড ওয়ার্নার মিলে সূচনাটা ভালোই করেছিলেন। তবে, ৪৯ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা দু’জন। ক্রিস ওকসের বলে জ্যাক ক্রাউলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ওয়ার্নার। ৫২ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
মার্নাস ল্যাবুশেন ১১৮ মিনিট উইকেটে থেকে ৮২ বল খেলে করেন মাত্র ৯ রান। তার স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০.৯৭ করে। ১৫৭ বল খেলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে যান উসমান খাজা। ট্রাভিস হেডও দ্রুত আউট হয়ে যান ৫ বলে মাত্র ৪ রান করে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্টিভেন স্মিথ। ১২৩ বলে ৭১ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই ইনিংসের ওপর ভর করেই মূলত অস্ট্রেলিয়ার রান ইংল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যায়।
মিচেল মার্শ ১০ রানে এবং মিচেল স্টার্ক ৭ রান করে আউট হয়ে গেলে ইনিংসের শেষ দিকে এসে ইংলিশ বোলারদের সামনে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়ান প্যাট কামিন্স এবং টড মার্ফি। ৮৬ বলে ৩৬ রানের দারুণ একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন প্যাট কামিন্স। ৩৯ বলে ৩৪ রান করেন টড মার্ফি।
ইংলিশদের হয়ে ৩ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। ২টি করে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড, মার্ক উড এবং জো রুট। ১ উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন।
আইএইচএস/