শেষ টেস্টেও বোলিং করবেন না বেন স্টোকস
বছরের শুরুতেই চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলে খেলার জন্য প্রচুর ঘাম ঝরিয়েছেন বেন স্টোকস। আইপিএলেও খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরই ইনজুরিতে আক্রান্ত হন। যে কারণে আইপিএল না খেলেই দেশে ফিরে আসেন এবং কঠোর পরিশ্রম করতে শুরু করেন, যেন জুন-জুলাইয়ের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
কারণ এই সময়ের মধ্যেই যে তাকে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠতে হবে! স্টোকস পুরোপুরি ফিট হয়েই অ্যাশেজ শুরু করতে পেরেছিলেন এবং দলকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। কিন্তু ওভালে শেষ টেস্টের আগে আবারও তার হাতের ইনজুরিটা মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে। ওভাল টেস্ট শুরুর আগেরদিন নেটে তাকে দেখা গেছে অফস্পিন করতে।
অর্থ্যাৎ, এটা নিশ্চিত হয়ে গেলো যে, বেন স্টোকস ওভাল টেস্টে বোলিং করতে পারছেন না আর। শারীরিকভাবেই দৌড়ে এসে পেস বোলিং করার মত অবস্থায় নেই এখন তিনি।
শুধু শেষ টেস্টই নয়, চলতি অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই বোলিং করছেন না স্টোকস। দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে একটানা ১২ ওভার বোলিং স্পেল করেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। টানা ১২ ওভার বোলিং করাটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লর্ডস টেস্টের পর শারীরিকভাবেও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। কারণ, লর্ডসে ম্যাচের চতুর্থ এবং পঞ্চম দিন টানা ব্যাট করেছিলেন। ১৫৫ রান করেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি স্টোকস। এরপর হেডিংলিতে গিয়ে স্টোকস জানান, তিনি আর এই সিরিজে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে পারবেন না। খেলবেন শুধু ব্যাটার হিসেবে।
এসব কারণে ভারসাম্য আনতে ইংল্যান্ড দল তাদের দলে বেশ কিছু পরিবর্তনও নিয়ে আসে। দলে আনা হয় দু’জন অলরাউন্ডারকে। মঈন আলি এবং ক্রিস ওকসকে একাদশে এনে হেডিংলিতে সাফল্যও তুলে নেয় তারা।
ওভালেও স্টোকস বোলিং করবেন না। পেস কিংবা স্পিন- কোনোটাই না। অ্যাশেজ শেষ হওয়ার পরই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে ভাববেন বলেও জানিয়েছেন। বিশেষ করে তার বাম পায়ের হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হতে হবে এবং ইনজুরি পুরোপুরি সারিয়ে তোলার জন্য অস্ত্রোপচারও করা হতে পারে তার হাঁটুতে।
আইএইচএস/