অ্যাশেজ সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি কেড়ে নিলো ইংল্যান্ডের জয়
বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দেয়ার মতোই, ইংল্যান্ডের জয়ের স্বপ্নে পানি ঢেলে দিলো বৃষ্টি। টানা দু’দিনের তুমুল বৃষ্টিতে ধুয়ে-মুছে গেছে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন। কারণে, বৃষ্টিতে ম্যানচেস্টার টেস্টে নিষ্প্রাণ ড্র মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দলই।
যার ফলে, এবারের অ্যাশেজে আর সিরিজ হারের সম্ভাবনা নেই অস্ট্রেলিয়ার। যদি সিরিজ ড্র’ও হয়, তবুও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অ্যাশেজ থেকে যাবে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই।
টেস্টের চতুর্থ দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৩০ ওভার। পঞ্চম দিন কোনো খেলাই হলো না। অথচ, এই দু’দিন মিলে যদি ৭০-৮০ ওভারও খেলা হতো, তাহলে নিশ্চিত ম্যাচ জিতে নিতে পারতো ইংল্যান্ড। কারণ, প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৩১৭ রানে বেধে ফেলার পর ইংল্যান্ড দ্রুত গতিতে রান তুলে অলআউট হয় ৫৯২ রানে।
প্রথম ইনিংসেই ২৭৫ রানের লিড পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষ বিকেলেই ১১৩ রান তুলতে গিয়ে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তখনও ১৬২ রান পিছিয়ে ছিলো তারা। হাতে ছিলো ৬ উইকেট। চতুর্থ দিন খেলা হলো ৩০ ওভার। ১০১ রান যোগ করলেও অস্ট্রেলিয়া হারায় ১ উইকেট।
বাকি সময়গুলোতে খেলা হলে অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত আউট করে দিয়ে ম্যাচ জয়ের সুযোগ পেয়ে যেতো ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই সুযোগ আর তারা পেলোই না। বৃষ্টির কারণে মাঠেই নামতে পারেনি তারা। পঞ্চম দিন তো ড্রেসিং রুমে অলস বসেই সময় কাটিয়ে দিয়েছে তারা।
প্রথম তিন টেস্টের মধ্যে দু’টি জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড জিতেছিল তৃতীয় টেস্টে। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে রয়েছেন প্যাট কামিন্সরা। চতুর্থ টেস্ট জিততে না পারায় এই সিরিজ ইংল্যান্ডের পক্ষে জেতা সম্ভব নয়। শেষবার অ্যাশেজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই চতুর্থ টেস্ট ড্র হওয়ায় শেষ টেস্ট ইংল্যান্ড জিতলেও সিরিজ অমীমাংসিত থেকে যাবে। সে ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়াই অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রেখে দেবে।
চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনা ছিল। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া করে ৩১৭ রান। জবাবে ইংল্যান্ড তোলে ৫৯২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ২১৪/৫। ৬২ রানে পিছিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। এমতাবস্থায় তাদের পক্ষে ইংল্যান্ডের রান টপকে বড় রানের লক্ষ্য দিয়ে বেন স্টোকসদের ১০ উইকেট তুলে জেতা বেশ কঠিন ছিল।
আইএইচএস/