অধিনায়ক তামিমের চোখে সাইফউদ্দিনই সেরা অলরাউন্ডার
টিম বাংলাদেশের সম্ভাব্য ওয়ার্ল্ডকাপ স্কোয়াড গঠনের আগে এই সেদিন ডাকা হলো দুজন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর শেখ মাহদিকে। মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে আরও একজন অফস্পিনার কাম ব্যাটারকে দলে রাখা যায় কি না- হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সে চিন্তাই করছেন।
কিন্তু সম্ভাব্য স্কোয়াডে নেই কোন পেসবোলিং অলরাউন্ডার। ভারতের মাটিতে মাঝারী গতির পিচে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের থাকলে বোলিং বৈচিত্র বাড়বে। অধিনায়ক তামিম ইকবালও মনে করেন, একজন পেসবোলিং অলরাউন্ডার থাকলে ভাল হতো।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্ন উঠলো, দলে কি একজন পেসবোলিং অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন?
উত্তরে তামিম বলেন, ‘অবশ্যই প্রয়োজন আছে। কখনো এমন কন্ডিশন থাকে যেখানে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকলে ভালো হয়।’
তবে দলে একজন পেসবোলিং অলরাউন্ডারের প্রয়োজনীতা অনুভব করলেও ওয়ানডে অধিনায়ক মানছেন, সত্যি বলতে পেস বোলিং অলরাউন্ডার দরকার; কিন্তু সে পেসবোলারটা কে? এ প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে তামিমের মনে।
সম্ভাব্য পেসবোলিং অলরাউন্ডারের কথা ভাবতে গিয়ে ওয়ানডে ক্যাপ্টেন এর মাথায় সাইফউদ্দিনের নামটাই উচ্চারিত হচ্ছে। তামিম মনে করেন সাইফউদ্দীনই হতে পারেন সেরা বিকল্প।
তাই মুখে এমন কথা, ‘যারা দলের সাথে নেই ওদের কথা যদি চিন্তা করি, তাহলে সাইফউদ্দিন একটা অপশন; কিন্তু সে এ মুহূর্তে ইনজুরিতে আছে। এমনকি ঘরোয়া সার্কিটেও এমন কেউ নেই যে নিয়মিত পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ভালো করছে। একজন ব্যাটার যে টুকটাক বল পারে এমন একটা অপশন আছে।’
‘সাইফউদ্দিনকেই ধরি একমাত্র যে দুইদিকেই সমান, তাও সে বোলিং অলরাউন্ডার। যেহেতু সে এখন ফিট নেই তাকে কন্সিডার করা কঠিন। এ মুহূর্তে যে অপশন আছে এগুলো নিয়েই আমরা চিন্তা করছি। এ রকম থাকলে ভালো হতো। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছে এমন ৩ জন যদি না থাকে, একজনকে বেছে নেওয়া কতটা যৌক্তিক আমি জানি না।’
এআরবি/আইএইচএস