জ্যৈষ্ঠের খরতাপে ৫ পেসার কি বিশেষ বার্তা দিচ্ছে?
আঙুলে চোট, ভালো হতে আরও সময় লাগবে। তাই নেই প্রাণভোমরা সাকিব আল হাসান। অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতিতে আফগানিস্তানের সাথে টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস।
পারফরমার সাকিবের জায়গা পূরণ করবেন কে বা কারা? কারণ সাকিব তো একাই ‘দুজন’। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলতেন, ‘টু ইন ওয়ান।’
বাংলাদেশে পারফরমার অলরাউন্ডার সাকিবের রিপ্লেসমেন্ট এমনিই নেই। আর একজনের পক্ষে সাকিবকে অভাব ঘোচানো সম্ভবও না। সে কারণেই ভাবা হচ্ছিল, সাকিবের জায়গা ভরাট করতে একজন করে বাড়তি ব্যাটার ও বাঁহাতি স্পিনার নেওয়া হবে। কিন্তু জায়গামতো দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
মিডল অর্ডারে ব্যাকআপ ব্যাটার হিসেবে শাহাদাত হোসেন দিপুকে নেওয়া হলেও বাঁহাতি বহদূরে, বাড়তি কোনো স্পিনারই নেওয়া হয়নি। বরং ৫ পেসারের দলভুক্তি ঘটানো হয়েছে। তাসকিন, এবাদত, শরিফুল আর খালেদের সঙ্গে পঞ্চম পেসার হিসেবে ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছেন ২০ বছরের তরুণ মুশফিক হাসান।
সাকিবের বদলে বাড়তি বাঁহাতি স্পিনার না নিয়ে উল্টো বাড়তি পেসার দলে, জৈষ্ঠের খরতাপে ১৫ জনের দলে ৫ জন পেসার কি বিশেষ বার্তা দিচ্ছে? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, প্রচণ্ড গরম দেখেই বাড়তি পেসার নেওয়া। মানে পেসারদের ওপরে যাতে প্র্যাকটিস আর ম্যাচে কোথাও বাড়তি শারীরিক ধকল না যায় তাই একগাদা দ্রুতগতির বোলার রাখা।
প্রধান নির্বাচক এর বাইরে আর কিছু না বললেও ৫ পেসারের অন্তর্ভুক্তিতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দলে অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ আর বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম ছাড়া আর কোনো স্পিনার যেহেতু নেওয়া হয়নি, তার মানে শেরে বাংলায় স্পিনসহায়ক উইকেটে খেলতে চাচ্ছে না স্বাগতিকরা।
তবে কি হোম অব ক্রিকেটে পেস বোলিং সহায় উইকেটে খেলা হবে? সেটাও বলা যাবে না। কেননা এই অসহনীয় গরমে লম্বা স্পেল তো অনেক দূরে, সেই ২০ গজের বেশি দৌড়ে টানা ৫ ওভার বোলিং করাও অনেক কঠিন।
সব দেখে মনে হচ্ছে, হোম অব ক্রিকেটে আফগানদের সাথে টেস্টে মূলত ব্যাটিং উইকেট হতে পারে। একাদশে তাইজুল আর মিরাজের খেলা নিশ্চিত। সাথে তিন পেসার। ১৫ জনের স্কোয়াডে ৫ পেসারের অন্তর্ভূক্তি তো সে বার্তাই দিচ্ছে। তাই না?
এআরবি/এমএমআর/জিকেএস