সাকিব একাই দুজন, ওর না থাকাটা বড় ধাক্কা: হাবিবুল বাশার
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ক্যাচ ধরতে গিয়ে হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন। পরে এক্সরেতে ধরা পড়লো আঙুলে চিড়। আর ডান হাতের তর্জনীর সে চিড় ভালো হতে লাগবে অন্তত ৬ সপ্তাহ। এই ৬ সপ্তাহের মধ্যে পড়ে গেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ। তাই ধরেই নেওয়া হচ্ছে, সাকিব আল হাসান আফগানদের বিপক্ষে টেস্টে খেলতে পারবেন না।
সন্দেহ নেই, সাকিব খেলতে না পারা মানেই বড় ধরনের ধাক্কা। সাকিব বরাবরই ‘টু ইন ওয়ান’। অধিনায়ক, দলের ব্যাটিং ও বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ। কার্যকর অস্ত্র। পারফরমার হিসেবে এক নম্বর।
ভক্তরা ভালবেসে বলেন, সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের প্রাণ। বাস্তবতা হলো, সাকিব আসলেই টিম বাংলাদেশের চালিকাশক্তি। তার অনুপস্থিতি অপূরণীয়। অধিনায়ক, অলরাউন্ডার সাকিবকে রিপ্লেস করার আসলে কেউ নেই।
এখন বোর্ড পড়ে গেছে কঠিন সমস্যায়। অধিনায়ক সাকিবের বিকল্প পেতে লিটন দাস আর মেহেদি হাসান মিরাজের যে কোনো একজনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আর ব্যাটার ও বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের বদলে কে খেলবেন? তা ভেবে নির্বাচকরা অস্থির।
সত্যিই সাকিবের অভাব কতটা অনুভব করেন নির্বচকরা? আফগানিস্তানের বিপক্ষে পারফরমার সাকিবকে ছাড়া কিভাবে দল সাজাবেন? কাকে নেবেন? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হন অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
বাশার স্বীকার করে নেন, ‘সাকিব একাই দুজন। ওর না থাকাটা একটা বড় ধাক্কা। ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটে খুব কম ক্রিকেটারই আছেন যারা ব্যাটিং-বোলিং করে দলে আসতে পারে। সাকিবের ব্যাটিং-বোলিং আমরা মিস করব। আমার মনে হয় বাকি যারা দলে আছে তাদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘সাকিব না থাকলে একটা প্লেয়ার কমে যায়। সাকিব আর মুশফিক দুইজন থাকলে একটা বাড়তি সুবিধা পাই। তাতে করে আমরা একটা বাড়তি ব্যাটার নিয়ে খেলতে পারি অথবা একজন বোলার বেশি নিয়ে খেলতে পারি। কন্ডিশন অনুযায়ী সেটা আমরা করে থাকি।’
বোলার সাকিবকে নিয়ে বাশার বলেন, ‘সাকিবের বোলিং তো বাংলাদেশ ডেফিনেটলি মিস করবে। তবে সাকিব ছাড়া তাইজুল আছে, মিরাজ আছে, তারাও কিন্তু যথেষ্ট ভালো বল করে টেস্ট ম্যাচে। আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টটা অনেক রিচ। তাই আমাদের যে রকম দরকার, টিম অনুযায়ী কিন্তু ওইরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারি। সেটা নিয়ে অনেক আগেই চিন্তাভাবনা হয়ে গেছে।’
এআরবি/এমএমআর/জিকেএস