সিলেটে প্রথম ৪ দিনের ম্যাচে কেন ভালো খেলেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের সঙ্গে তেমন ভালো খেলেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ফলোঅনে পড়ে কোনোরকমে হার এড়িয়েছেন জাকির হাসান, সাদমান, সাইফ, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকের আলী অনিক নাইম হাসানরা।
যে সিলেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দল করেছে ৪২৭ (৭ উইকেটে ডিক্লেয়ার)। সেই পিচে দুইবারে- প্রথম ইনিংসে (২৬৪/১০) ও দ্বিতীয় ইনিংসে (১৮৭/৭) রান করতে নাভিশ্বাস উঠেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।
দুই ইনিংসে ভালো খেলতে পারেননি কেউই। সাইফ হাসান, সাদমান, জাকের আলী অনিক আর জাকির হাসানরা এক ইনিংস ভালো খেলেছেন। মুশফিক হাসান (৩/৫৪) রেজউর রহমান রাজা, রিপন মন্ডল, নাইম হাসান ও রিশাদ হোসেনের কেউ বল হাতে জ্বলে ওঠেনি। ঘরের মাঠে ক্যারিবীয় ‘এ’ দলের সাথে এমন অনুজ্জ্বল পারফরমেন্স অনেকটাই হতাশ করেছে স্বাগতিক ভক্তদের।
কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের সাথে এত অনুজ্জ্বল পারফরমেন্স? কোচ জেমি সিডন্স তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আজ সোমবার সিলেটে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে জেমি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে লম্বা প্রিমিয়ার লিগ খেলে ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই সাদা বলে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। একটা লম্বা সময় ঢাকার প্রিমিয়ার লিগে সাদা বলে খেলে অল্প ক’দিন পর লাল বলে ৪ দিনে ম্যাচ খেলতে গিয়ে কিছুট সমস্যা হয়েছে। ব্যাটারদের প্রায সবাই ওয়ানডে মেজাজে একটু বেশি শট খেলার চেষ্টা করেছেন বল ছাড়া প্রবণতা কম ছিল। রক্ষনাত্মক শটস খেলার চেষ্টাও ছিল কম।
একইভাবে পেস বোলাররাও জায়গামতো বল ফেলতে পারেনি। তাই উইকেটও কম পেয়েছে। জেমির বিশ্বাস প্রিমিয়ার লিগে সাদা বলে লম্বা সময় অনুশীলন করা এবং লিগে ১৪-১৫ ম্যাচ খেলার পর লাল বলে কিছুটা সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
জেমির পরামর্শ যদি ব্যাটাররা আর একটু রক্ষনাত্মক হতে পারে এবং ধৈর্য্য ধরে ব্যাট করতে পারে তাহলে ৬ ঘণ্টা ব্যাট করা অসম্ভব নয়।
ব্যাটারদের প্রতি তার সাবধানবাণী, আমি আক্রমণাত্মক ৩০ আর চটকদার মারে সাজানো ২০ রানের ইনিংস চাই না। চাই লম্বা সময় ধরে উইকেটে থাকা এবং দিন শেষ করে আসা। সেটাই ৪ দিনের খেলার প্রধান বৈশিষ্ট্য।
অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুবর রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হওয়াটা ভালো লাগেনি কোচ জেমির। তার কথা সেটা ছিল বাজে শট।
এআরবি/আইএইচএস