টার্নিং পয়েন্ট

তামিমের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব ও শান্তর বোলিং ঝলক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৭ এএম, ১৫ মে ২০২৩

এই ম্যাচটা বাংলাদেশ জিততে পারে, অনেকেই হয়তো ভাবেননি। অধিনায়ক তামিম ইকবাল তার ক্ষুরধার মস্তিষ্কের খেল দেখালেন। নাজমুল হোসেন শান্ত দেখালেন, তিনি দলের প্রয়োজনে বল হাতেও অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেন!

আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৭৫ রানের। ৪১ ওভার শেষে ৩ উইকেটেই ২২৩ রান তুলে ফেলে স্বাগতিকরা। ৫৪ বলে দরকার ৫২, হাতে ৭টি উইকেট। বাংলাদেশের হার তখন বলতে গেলে চোখের সামনেই।

এমন সময়ে বাজিটা ধরেন তামিম ইকবাল। টাইগার অধিনায়ক হুট করে আক্রমণে নিয়ে আসেন অকেশনাল স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। আইরিশরা হয়তো এমনটা আশা করেনি।

শান্ত নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দেন অধিনায়ককে। সেট ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে (৪৮ বলে ৪৫) আউট করেন অফস্পিনে। সেটিই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরই ভোজবাজির মতো পাল্টে যায় খেলা।

শান্তকে ওই এক ওভার করিয়েই সরিয়ে নেননি তামিম। করান টানা তিন ওভার। শান্তও অধিনায়কের আস্থা প্রতিদান দিয়ে তিন ওভারে দেন মাত্র ১০। সেটাও আবার ডেথ ওভারে!

এমন একটি ম্যাচ বাংলাদেশ শেষ বলে এসে ৫ রানে জিতেছে, যেটা টাইগার সমর্থকরা মনে রাখবেন অনেকদিন। মনে রাখবেন তামিমের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব আর শান্তর ম্যাচ ঘুরানো বোলিং স্পেলও।

শুধু শান্তকে বোলিংয়ে আনার কথা বলা কেন, শেষ তিন ওভারে হাসান মাহমুদের ২ ওভার রাখা। শেষ ওভারে হাসানের ওপর ভরসা করা। ডেথে একটা প্রান্তে যখন শান্ত রান আটকে রেখেছেন, অপরপ্রান্তে মোস্তাফিজুর রহমানকে এনে উইকেট তুলে নেওয়া-ম্যাচে তামিমের এমন অনেক সিদ্ধান্ত ছিল, যেগুলোর প্রশংসার দাবি রাখবেই!

এমএমআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।