জসওয়ালের ব্যাটে তাণ্ডব, কেকেআরকে বিধ্বস্ত করলো রাজস্থান
১৫০ রানের লক্ষ্য। অনেক সময় এই রান তাড়া করাও কারো কারো জন্য অসাধ্য হয়ে যায়। লো স্কোরিং ম্যাচে ১২০-৩০ রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়। তবে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের ১৪৯ রানের পুঁজিকে যথেষ্ট প্রমাণ করতে পারেনি। প্রমাণ করতে দেননি মূলত রাজস্থান রয়্যালসের তরুণ বিধ্বংসী ব্যাটার জসস্বি জসওয়াল।
১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জসওয়াল একাই ৪৭ বলে খেললেন ৯৮ রানের অনবদ্য, হার না মানা ইনিংস। তার একার এক ইনিংসের ওপর ভর করে মাত্র ১৩.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজস্থান রয়্যালস। ৪১ বল হাতে রেখে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৯ উইকেটের ব্যবধানে রীতিমত বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে জসওয়ালরা।
অথচ ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর ইংল্যান্ডের ইনফর্ম ব্যাটার জস বাটলার শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরে যান। আন্দ্রে রাসেলের হাতে রানআউট হয়ে যান তিনি। দলীয় রান তখন অবশ্য ৩০। জসওয়ালই একপাশে মারমুখি ব্যাটিং শুরু করে দিয়েছিলেন।
বাটলারের দুর্ভাগ্যজনক রানআউট ছাড়া রাজস্থানের উইকেট ফেলার মত বোলিং করতে পারেননি কেকেআর বোলাররা। যে কারণে জসওয়াল এবং অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন মিলে ১২১ রানের অপরাজিত অনবদ্য জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
জসওয়ালের জন্য আক্ষেপ, কেকেআরের রান আর অল্প কিছু বেশি হলে তিনি হয়তো সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু কেকেআরের রান কম হওয়ায় ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
তার ৯৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ছক্কায়। অর্থ্যাৎ, ৯৮ রানের মধ্যে ৭৮ রানই ছিল তার বাউন্ডারি এবং ছক্কা থেকে। ২৯ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাঞ্জু স্যামসন। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
এই জয়ে ১২ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে উঠে এলো রাজস্থান রয়্যালস। অন্যদিকে কেকেআরেরও ১২ ম্যাচে পয়েন্ট ১০। তারা রয়েছে টেবিলের সাত নম্বরে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এক ভেঙ্কটেশ আয়ার ছাড়া কেকেআরের আর কেউ তেমন দাঁড়াতেই পারেনি রাজস্থান বোলারদের সামনে। আয়ার ৪২ বলে করেন ৫৭ রান। এছাড়া ২২ রান করেন নিতিশ রানা, ১৮ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ১৬ রান করেন রিঙ্কু সিং। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে কেকেআর।
আইএইচএস/জিকেএস