প্রশ্ন সাকিবের

আমি ছাড়া কি বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না?

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২৩

প্রথম ইনিংসেও তিনি নামমাত্র বোলিং করেছেন (মাত্র ৩ ওভার)। সেটাও ৬৫ ওভার শেষ হওয়ার পর। তবে আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংস কম রানে বেঁধে ফেলতে আগের দিন প্রথমেই বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তার ঘূর্ণিতেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল সফরকারীরা। ৭ ওভারের টানা স্পেলে ১১ রানে ২ উইকেটের পতন ঘটিয়ে রীতিমত আইরিশ শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছিলেন সাকিব।

ধারণা করা হচ্ছিল, মিরপুর টেস্টে তৃতীয় দিনে সাকিবই বাংলাদেশের বোলিংয়ের নেতৃত্ব দেবেন, আইরিশদের দ্রুত অলআউট করতে। কিন্তু সাকিব সেটা করলেন না। তৃতীয় দিন পুরো ৯০ ওভারের মধ্যে বাঁহাতি সাকিব করলেন মাত্র ৬ ওভার। সেটাও চার স্পেলে (এক স্পেলে ৩ ওভার আর বাকি ৩ ওভার তিন স্পেলে)।

সবমিলিয়ে মিরপুর টেস্টে সাকিব দুই ইনিংসে বোলিং করেছেন ১৬ ওভার। যেখানে আরেক বাঁহাতি তাইজুল ইসলাম প্রথম ইনিংসেই ২৮ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ ওভার বল করেন।

সাকিব কেন এই টেস্টে সেভাবে বোলিংয়ে অবদান রাখলেন না? বারবার আসছিল এমন প্রশ্ন। আগের দিন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের কাছে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাকিব কেন বোলিং করেননি, তার জানা নেই। প্রশ্নটা বরং সাকিবকে করলেই ভালো হবে।

অবশেষে সাকিবকে সেই প্রশ্ন করার সুযোগ এলো। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এলেন টাইগার অধিনায়ক। কেন এত কম বোলিং করলেন এই টেস্টে? কোনো আলাদা কারণ ছিল?

এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, ‘নাহ। ওরকম তো কোনো ব্যাখ্যা নেই। বোলিং কাউকে করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার কাছে পাঁচ-ছয় রকমের অস্ত্র থাকলে সব অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই তো সবসময়।’

সাকিব ছাড়া কি বাংলাদেশ দলের বোলিং অচল? উল্টো এমন প্রশ্ন করে বসলেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এটার মানে কী, আমি ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না? আমাদের যথেষ্ট বোলার আছে বিশ উইকেট নেওয়ার মতো, আমার তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে। সেটা ওরা করে দেখিয়েছে।’

ছয় বোলার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত কি সঠিক ছিল? সাকিবের জবাব, ‘আপনার যদি বিশ উইকেট নিতে হয়, বোলিং অপশনটা বেশি নিতে হবে। এটার বিকল্প আসলে নেই। কম বোলিং অপশন তখনই থাকে যখন আপনি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় থাকেন। ড্র করার চিন্তা বা কোনোরকম ব্যাটিংটা ভালো করার চিন্তা থাকে। যখন আপনি জিততে চাইবেন পাঁচ বোলার, ছয় বোলারের অপশন নিয়ে খেলবেন। বড় বড় দলগুলো এরকম অবস্থাতে তারা আছে। বিশেষত আপনি যদি ইংল্যান্ড- ভারতে দেখেন, ওদের পাঁচ-ছয়জন মেইন বোলার; ছয়জন ব্যাটার নিয়ে ওরা খেলে।’

তার মানে কি বাংলাদেশ এখন থেকে ছয় বোলার নিয়েই খেলবে? ‘হয়তো বেশির ভাগ ম্যাচ করতে চেষ্টা করবো আমরা। সবসময় হয়তো হবে না। কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে, প্রতিপক্ষ দেখে হয়। কিন্তু আস্তে আস্তে অনেক বেশি ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করবো’-যোগ করেন সাকিব।

এমএমআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।