শোয়েব আখতারের খোঁচা

প্রয়োজনে কোহলিকে হুইল চেয়ারে খেলাবে ভারত!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩

শচিন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি বা একশ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে পারেন বিরাট কোহলি- অনেক বিশেষজ্ঞই এমন দাবি করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে। যদিও মাঝে কোহলি অনেকদিন সেঞ্চুরির দেখা পাননি। প্রায় ৪০ মাস পর ২৮তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

এ নিয়ে মোট ৭৫টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে কোহলির। সংখ্যার হিসেবে শচিনের পরই এখন অবস্থান করছেন বিরাট কোহলি। শচিনকে ছাড়িয়ে যেতে হলে এখনও তার প্রয়োজন ২৬টি সেঞ্চুরি।

পারবেন কোহলি? পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব মালিক মনে করেন, বিরাট কোহলি পারবেন ১০০তম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে। তবে এ জন্য তাকে আরও ৮-৯ বছর খেলতে হবে।

বিরাট কোহলির বয়স এখন ৩৪। ৮-৯ বছর খেলতে হলে অবশ্য ৪৩ কিংবা ৪৪ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে হবে তাকে। সে পর্যন্ত কী পারবেন তিনি খেলতে? এ পর্যায়ে এসে একটু খোঁচাও দিলেন শোয়েব আখতার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া আপকো হুইলচেয়ার মে ভি খিলায়েগা অ্যান্ড উইল মেক ইউ রিচ ১০০-১০০ (ভারত তোমাকে প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে খেলাবে, তবুও সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করাবে)।’

শোয়েব আখতার জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, ১০০ কেন বিরাট কোহলি অন্তত ১১০টি সেঞ্চুরি করেই তবে অবসরের ঘোষণা দেবেন।’

কাতারের দোহায় লেজেন্ডস লিগ খেলার ফাঁকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আখতার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় বিরাট ৪৩ বছর বয়স পর্য়ন্ত খেলবে। এখনও ৮-৯ বছর ওর হাতে আছে।’

এ জন্য শোয়েব আখতার বিরাটকে ভালো একটি পরামর্শও দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বয়স হয়ে গেছে। কোহলিকে শরীর বাঁচাতে হবে। আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তার জন্য খুবই দারুণ একটি ব্যাপার। এই ফরম্যাটকে সে পছন্দও করে। কিন্তু আমার মতে, টি-টোয়েন্টিতে প্রচুর এনার্জি খরচ হয়। তার চেয়ে বরং, টি-টোয়েন্টি থেকে তার অবসর নেয়া উচিৎ। তাহলে সে আরও ৮-৯ বছর খেলতে পারবে। এই সময়ে অন্তত ৩৫টির বেশি টেস্ট খেলতে পারবে। যেখানে কম করে হলেও ২৫টি সেঞ্চুরি পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব।’

এ সময় আরেকটু খোঁচাও দিলেন তিনি। শোয়েবের দাবি, তাদের সময়ে খেললে বিরাট এত শতরান করতে পারতেন না। আখতার বলেন, ‘আমি, ওয়াকার ইউনিস ও ওয়াসিম আকরাম যখন সেরা ছন্দে ছিলাম, তখন যদি বিরাট খেলতো তাহলে ওর এত শতরান হত না। খেলার পাশাপাশি স্লেজিংও করতাম আমরা। ওকে বিরক্ত করতাম।’

তাদের সময়ে খেললে বিরাটের কত সেঞ্চুরি হতো সে কথাও জানিয়েছেন আখতার। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সময়ে খেললে ৩০ থেকে ৫০টা শতরান করতে পারত বিরাট; কিন্তু সেই শতরানের গুরুত্ব আলাদা হত। কারণ, সেই শতরানের মধ্যে একটা শিল্প থাকত। কেন আমরা সুনিল গাভাস্কারকে সেরা ব্যাটার বলি। কারণ, যে সময়ে তিনি খেলেছেন সেই সময়ে শতরান করা সহজ ছিল না।’

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।